চাঁচল: মোবাইল চোর সন্দেহে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে নাবালকের উপর চলল পাশবিক অত্যাচার। মাটিতে ফেলে লাঠি, বাঁশ দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি লাথি-ঘুষি কিল চড় চলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের তৎপরতায় রক্ষা পায় ওই নাবালক। মালদহের চাঁচল থানা এলাকার হারোহাজরা গ্রামে এই পাশবিক অত্যাচারের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই উঠছে নানান প্রশ্ন। যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি দড়ি দিয়ে পা বেঁধে রেখেছে ওই নাবালকের। পাশেই রয়েছে অনেকে, যারা মারধরে উৎসাহ দিচ্ছেন। মোবাইল চোর সন্দেহে এমন অত্যাচার চলে বলে জানিয়েছে আক্রান্তের পরিবার।
পুলিশ নাবালককে উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ওই নাবালক। হাত পা ভেঙে গিয়েছে, পেট ফুলে রয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ঘটনা পর সোমবার ১০ জনের বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বালকের বাবা রকিম আলী। দোষীদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে পরিবার।
পরিবারের দাবি, এলাকারই ফল্টুস আলীর গ্রীল কারখানায় কাজ শিখতে শুরু করেছে ছেলে। খেলার ছলে মালিকের মোবাইল হাতে নেয় সে। পরে আবার ফেরতও দেওয়া হয় মোবাইলটি। তারপরেও চোর সন্দেহ করে জেরা করা হয় ওই নাবালককে। কিন্তু সে চুরির কথা স্বীকার না করায় চলে ব্যাপক মারধর। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আক্রান্তের বাবা রকিম আলী বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনও ভুল করে তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিত। কিন্তু এইভাবে মারধর করল। আমরা চাই দোষীরা শাস্তি পাক।‘