শিবশংকর সূত্রধর, কোচবিহার: এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (MJN Medical College & Hospital) নতুন করে বেড রাখার জায়গা না থাকায় এক বেডে একাধিক রোগী রাখতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে এক হাজার বেডের সুপারস্পেশালিটি মডেলের একটি হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে রাজ্যে। এমজেএন মেডিকেল কর্তৃপক্ষই সেই প্রস্তাব পাঠাচ্ছে। মেডিকেলের অধ্যক্ষ নির্মলকুমার মণ্ডল বলেন, ‘সুনীতি রোডের পাশে এমজেএন মেডিকেলের ক্যাম্পাসটি হেরিটেজ হওয়ায় সেটি সংস্কার করে জায়গা বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাই মেডিকেলের কৃষিবীজ খামার এলাকায় অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসে যাতে সুপারস্পেশালিটি মডেলের সেই হাসপাতালের পরিষেবা দেওয়া যায়, সেই প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের একটি নকশা তৈরি করা হয়েছে।’
বর্তমানে সুনীতি রোডের পাশে যে ভবনে মেডিকেলের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়, একসময় সেটি জেলা হাসপাতাল ছিল। রাজ আমলে তৈরি এই ভবনে জায়গার অভাব রয়েছে। মাতৃমা বিভাগে ২৫০টি সহ হাসপাতালে মোট ৭৭৪টি বেড রয়েছে। কিন্তু সেখানে রোগী ভর্তি থাকার সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। মরশুম পরিবর্তনের সময় যখন জ্বর, সর্দি, কাশির সংখ্যা বাড়ে তখন রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এছাড়াও জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে উন্নীত হওয়ার পর অনেক বিভাগ খোলা হয়েছে। সেজন্যও জায়গার প্রয়োজন। বর্তমানে সিসিইউ ব্লক খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও জায়গার অভাবে সমস্যায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
মেডিকেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় সুপারস্পেশালিটি মডেলের কোনও হাসপাতাল নেই। তাই এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে যদি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের অনুমোদন মেলে, তাহলে জায়গার সংকুলান হবে। বর্তমানে এমজেএন মেডিকেলের অ্যাকাডেমিক ক্যাম্পাসে প্রায় ২৫ একর জায়গা রয়েছে। তার মধ্যে প্রশাসনিক, পঠনপাঠনের জায়গা, একাধিক হস্টেল বাদেও ফাঁকা জায়গাগুলিতে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। সেই ভবনগুলিতে সুপারস্পেশালিটি মডেলের হাসপাতাল তৈরির অনুমোদন মিললে সুনীতি রোডের পাশে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে রোগীর চাপ কমবে।
বর্তমানে হাসপাতালের মাতৃমা ভবনটি চারতলায় রয়েছে। সেই ভবনটির উচ্চতা বাড়ানোর জন্যও রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই ভবনের ধারণক্ষমতা বাড়ানো নিয়েও প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।