কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন আরও মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলার। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের অগ্রগতি কত দূর এগোল? তা সোমবার সিবিআইয়ের কাছে জানতে চান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুপুর ২টোর মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। সেই মতো এদিন সিবিআই ওএমআর শিট সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করে। সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন আরও মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলার। সেই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘এ তো সব মহাপুরুষ! এদের কবে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন, লোকসভা ভোটের পর?’
সেই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কি সিবিআইয়ের যোগসাজশ রয়েছে? এদিন এমনও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জেলবন্দি মানিককে জেরা না করায় সোমবার সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি। বিচারপতি বলেন, ‘আমার নির্দেশের পরেও মানিককে জেরা করেনি সিবিআই। তাই আমার মনে হয়, সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে। মনে হচ্ছে, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসার বুদ্ধি মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই আধিকারিকরাই দিয়েছিলেন।’ প্রাথমিকের দুর্নীতি মামলা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কেস ডায়েরি মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।