মেখলিগঞ্জ: তিস্তা নদী সংলগ্ন চর থেকে মর্টার শেল (Mortar shell) উদ্ধার করল পুলিশ। পরবর্তীতে সেনাকর্মীরা এসে মর্টার শেলটিকে নিষ্ক্রিয় করে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মেখলিগঞ্জের (Mekhliganj) ৪০ নিজতরফ পঞ্চায়েতে।
জানা গিয়েছে, এদিন স্থানীয়রাই প্রথমে মর্টার শেলটিকে দেখতে পায়। এরপরই খবর দেওয়া হয় মেখলিগঞ্জ থানার ওসি মনিভূষণ সরকারকে। ঘটনাস্থলে মেখলিগঞ্জ পুলিশের একটি টিম পৌঁছে মর্টার শেলটিকে ঘিরে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ সেনা আধিকারিকদের খবর দেয়। তারপর সেনাবাহিনীর বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরা এসে মর্টার শেলটিকে নিষ্ক্রিয় করেন। এনিয়ে মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই বলেন, ‘মর্টার শেল উদ্ধারের খবর পেয়েই আমরা পার্শ্ববর্তী সেনা ছাউনিতে খবর দেই। সেনাকর্মীরা এসে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে।’ তিস্তা চরে মর্টার শেল উদ্ধার নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ‘২০২৩ সালে তিস্তার বন্যায় বিপর্যস্ত সিকিমের কোনও এক সেনা ছাউনি থেকে এটি ভেসে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে তিস্তা নদীতে ভয়াবহ বন্যায় সিকিমে অবস্থিত সেনা ছাউনি সহ সেনাবাহিনীর অস্ত্রসস্ত্র, অন্যান্য সামগ্রীও ভেসে যায়। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি সহ কোচবিহারে তিস্তা নদীর চরে একের পর এক সেনাবাহিনীর অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার হতে থাকে। কয়েকমাস আগে কুচলিবাড়িতে তিস্তার চর থেকে একটি মর্টার শেল উদ্ধার হয়। এতদিন পর ফের মর্টার শেল উদ্ধারে আতঙ্কের ছড়িয়েছে তিস্তার চরের কৃষকদের মধ্যে। কারণ বর্তমানে তিস্তার চর জুড়ে ভুট্টা, তরমুজ সহ অন্যান্য ফসলের চাষ হচ্ছে ট্রাক্টরের সাহায্যে। ফলে চরে মর্টার শেল বা অন্যান্য বিস্ফোরক চাপা থাকলে, আর তার উপর দিয়ে ট্রাক্টরে চললে বড়সড়ো বিপদ হতে পারে। তাই কৃষকরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিস্তার চরে বিস্ফোরক খোঁজার দাবি জানিয়েছেন। এনিয়ে এক কৃষক বলেন, ‘আমরা রীতিমতো ভয় নিয়ে চাষ করছি। সেনাবাহিনীর উচিৎ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চর থেকে মর্টার শেল বা অন্যান্য বিস্ফোরক খুঁজে বের করা।’