হবিবপুর: নৃশংস। মানবেতর। মাত্র কুড়ি টাকা না দেওয়ায় মাকে আস্ত কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল গুণধর ছেলে। মঙ্গলবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর (Habibpur) থানার বুলবুলচণ্ডী পঞ্চায়েতের মধ্যম কেন্দুয়ায়। ঘটনার পরেই ক্ষুব্ধ লোকজন প্রৌঢ়ার ছেলে কৌশিক সিংহ ওরফে চয়ন সিংহকে (২১) ধরে ফেলে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। রক্তাক্ত কুড়ুল সহ চয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পাশাপাশি মৃতদেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম আরতি সিংহ (৫৫)। তিনি হবিবপুরের একটি জুটমিলে কাজ করতেন। নিহত আরতিদেবীর বোন বন্দনা সিংহ ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন, ‘দিদি ছেলেকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই থাকত। উপার্জনের জন্য দিদি কাজ করত। ছেলে চয়ন কিছু কাজ করত না। আজ চয়ন মায়ের কাছে কুড়ি টাকা চেয়েছিল। কিন্তু দিদি সেই মুহূর্তে টাকা দিতে পারবেন না বলে জানায়। এরপরই রেগে যায় ও। এরপরই কুড়ুল নিয়ে চড়াও হয় মায়ের উপর। কুড়ুল দিয়ে কোপাতে থাকে মাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে দিদি। তখনই মৃত্যু হয় তাঁর।’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার দুপুরের পর হঠাৎ শুনতে পাই, মধ্যম কেন্দুয়া এলাকায় আরতি সিংহ নামে একজন প্রৌঢ়া খুন হয়েছেন। খবর পেয়ে ছুটে আসি। ততক্ষণে প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়েছেন। তঁারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করে। হবিবপুর থানার পুলিশও আসে। তাঁর ছেলে চয়নকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। তখনই জানতে পারি, ওঁর ছেলে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে মাকে। এমন ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।’
কিন্তু তাঁর ছেলে কেন ২০ টাকা চেয়েছিল মায়ের কাছে? সে কী নেশার সামগ্রী কেনার জন্য এমন করেছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে, সামান্য কয়েক টাকার জন্য গর্ভধারিণী মাকে এভাবে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
হবিবপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, কৌশিক সিংহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।