উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ঘুরতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কিন্তু দূরে কোনও যাত্রার ক্ষেত্রে অনেকেরই ভীষণ সমস্যা হয়। বাস বা ছোট গাড়িতে বসলেই বমি বা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়ে যায়। গা গুলিয়ে ওঠে বা দমবন্ধের মতো অবস্থা তৈরি হয়। এর ফলে ঘোরাটাকে ঠিক মতো উপভোগ করা যায় না। এটিকে মূলত ‘মোশন সিকনেস’ বলে। ঘোরার সঙ্গীর এই সমস্যা থাকলে অনেকেই এটা নিয়ে ভোগেন।
‘মোশন সিকনেস’ কেন হয়? চলন্ত গাড়ির ঝাঁকুনি বা বাইরের দৃশ্যের ক্রমাগত পরিবর্তনের জন্য চোখ থেকে মস্তিষ্কে নানা সংকেত যায়। তার পাশাপাশি কানের পাঠানো সংকেতও মস্তিষ্কে জড়ো হয়। দুইয়ের সংঘাতে ‘মোশন সিকনেস’ জাঁকিয়ে বসে। এর ফলে গা গুলোয়, বমি বমি ভাব হয় আরও নানা সমস্যা দেখা যায়। গন্তব্যে পৌঁছোনোর আগেই শরীরে ক্লান্তি চলে আসে।
এই ‘মোশন সিকনেস’-এর সমস্যা দূর করবেন কীভাবে? রইল কয়েকটি উপায়… ১. ভ্রমণের সময়ে এবং তার আগে কী খাচ্ছেন, সেদিকে নজর দিন। অ্যালকোহল তো একদমই না। তবে খালি পেটেও গাড়িতে ওঠা ঠিক না।
২. এমন কোনও সিটে বসবেন না, যাতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি লাগে। বিশেষ করে বিমান সফরের সময়ে প্লেনের মাঝামাঝি সিট বুক করুন। আপনার যদি উচ্চতায় দুর্বলতা থাকে, তবে উইন্ডো সিট এড়িয়ে চলুন।
৩. বমি-বমি ভাব কিংবা গা গোলানো এড়াতে তীব্র মশলার গন্ধযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৪. জানলা খুলে রাখবেন, বাইরের ঠান্ডা হাওয়া আসলে সুস্থবোধ করবেন। এছাড়াও কাছে লবঙ্গ, আদাকুচি, কমলালেবুর খোসা বা মুখশুদ্ধি রাখতে পারেন। গা গোলালেই ঝটপট মুখে দিন।
গাড়ি চলাকালীন বই ভুলেও পড়বেন না। আবার মোবাইলে সিরিজ, সিনেমা দেখলও মোশন সিকনেসের সমস্যা হতে পারে।