নাগরাকাটাঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মত দোরে দোরে ঘুরে নিবিড় প্রচারই আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের ৭ বিধানসভার মধ্যে একমাত্র নাগরাকাটা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের লিড পাওয়ার ইউএসপি। ২০১৯ এর লোকসভায় প্রায় ৪৮ হাজার এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি ভোটে এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। সেই ব্যবধান ঘুঁচিয়ে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি ভোট এখান থেকে আদায় করে নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। দলের প্রার্থী প্রকাশ চিকবরাইকের পরাজয়ে মর্মাহত হলেও পদ্ম দূর্গে পরিণত হয়ে ওঠা নাগরাকাটায় জোড়া ফুল ফোটাতে পেরে তাই এখন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তৃণমূল শিবির। বুধবার দলের নেতা কর্মীদের আবির খেলতেও দেখা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সভাপতি প্রেম ছেত্রী বলেন, নেতা কর্মীদের সমস্ত মতভেদ দূরে ঠেলে যৌথ ভাবে কাজ করাই এই সাফল্যের অন্যতম রসায়ন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী প্রকল্পগুলির কথা প্রতিটি বাড়িতে একাধিকবার গিয়ে পৌঁছে দিতেও আমরা সফল হয়েছি। ২০২৬ সালের বিধানসভায় জয়ের জন্য এদিন থেকেই কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নাগরাকাটা থেকে নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্দী বিজেপির মনোজ টিগ্গার প্রাপ্ত ভোট ৭৯৭৩২। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রকাশ চিকবরাইক পেয়েছেন ৮৩,২৭৯ টি ভোট। এই হিসেব অবশ্য পোস্টাল ব্যালটের ভোট ছাড়া।
এদিন ফল নিয়ে তৃণমূলের নাগরাকাটা ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বুথ ভিত্তিক চুলচেরা সমস্ত কিছু বিশ্লেষণ করে দেখা হয়েছে। নাগরাকাটার আংরাভাসা দুই নম্বর ও লুকসান গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলে তৃণমূল সন্তুষ্ট নয়। ওই দুই পঞ্চায়েতে গেরুয়া শিবির এগিয়ে আছে। প্রেম ছেত্রী বলেন, ফাঁক ফোকর দ্রুত মেরামত করে ফেলা হবে। এদিনের সভায় ছিলেন নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুর, বর্ষীয়াণ তৃণমূল নেতা অসিতাভ বসু, শ্রমিক নেতা মনোজ কারকিডুলি সহ আরও অনেকে।