উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় অবিকল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মতো পোশাক পড়া মুণ্ডুহীন এক ব্যক্তির ছবি পোস্ট করেছিল কংগ্রেস। সেখানে কারও মুখ নেই, এমনকী অবয়বও নেই। আছে শুধু জামা, জুতো, অনেকটা হলোম্যানের মতো! কিন্তু তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্টাইল স্টেটমেন্টের সাদৃশ্য অতি স্পষ্ট। যার উপরে লেখা ছিল ‘গায়েব’। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স হ্যান্ডলে এই পোস্ট হতেই রে রে করে ওঠে বিজেপি। সরাসরি কংগ্রেসকে তারা ভারতের শত্রুদের পক্ষ নেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত করে।
পালটা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে ‘লস্কর এ পাকিস্তান কংগ্রেস’ বলে আক্রমণ করা হয়। কংগ্রেসের এই বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে প্রতিবেশী দেশ। পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী ফওয়াদ আহমেদ হুসেন চৌধুরি লিখেছেন, ‘গাধার মাথা থেকে শিং হারিয়ে যাওয়ার কথা শুনেছিলাম, কিন্তু এখানে মোদি নিখোঁজ।’’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ- Naughty Congress! সমালোচনা শুরু করেন নেটিজেনরাও। শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে এই পোস্ট ডিলিট করতে হল কংগ্রেসকে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের প্রধান সুপ্রিয়া শ্রীনাতকে দলের তরফে পোস্ট ডিলিট করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। দলীয় লাইনের বাইরে গিয়ে এই পোস্ট করায় তাঁকে ভর্ৎসনাও করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন পহেলগাঁও হামলার আবহে যখন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করেছে, তখন এই ধরনের পোস্ট দেশের মানুষকে ভুল বার্তা দেবে।
সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করেই পোস্টটি করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। মোদির মতো পোশাক দেখা গেলেও পোস্টে কারও মুখ ছিল না। বোঝানো হয়েছিল দেশের প্রয়োজনের সময়ে মোদি থেকেও নেই। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করা হলেও পোস্টে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছিল ‘দায়িত্বের সময় উধাও।’ কংগ্রেস এর আগে একাধিকবার সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করেছে, তা সত্ত্বেও দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন বর্তমান আবহে এই ধরনের কটাক্ষমূলক পোস্ট দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি করছে।
যদিও কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ জানান, প্রধানমন্ত্রী সফর কাটছাঁট করে সৌদি আরব থেকে ফিরে এলেও তিনি বিহারে জনসভায় ভাষণ দিতে যান। তার কাছে ভাষণ দেওয়ার সময় থাকলেও সর্বদল বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময় থাকেনা। বিজেপি মুখপাত্র গৌরভ ভাটিয়া কংগ্রেসকে ‘মিরজাফরদের মঞ্চ’ বলে তোপ দাগেন। স্পর্শকাতর সময়ে কংগ্রেস দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বলেও আক্রমণ করে বিজেপি।