ময়নাগুড়ি: মহাসড়কের আদলে ময়নাগুড়ি শহরের ওপর রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। শহরের দাড়িভেজা মোড় থেকে বিডিও অফিস মোড় পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় এই সড়ক নির্মাণ হবে। বর্তমানে মূল রাস্তাটি সাত মিটার চওড়া রয়েছে। সেটি দুই পাশে বাড়িয়ে ১০ মিটার চওড়া করা হবে। এই রাস্তার দুই পাশে থাকবে পাকা রেলিং। রেলিংয়ের দুই পাশে সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া করে আরও দুটি সার্ভিস রোড নির্মাণ করা হবে। এই পাকা রাস্তার পরে থাকবে বড় নর্দমা। নর্দমার ওপর থাকবে পাকাপোক্ত ঢাকনা। এই চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যতটা সম্ভব সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের।
ময়নাগুড়ি শহরের ওপর দিয়ে গিয়েছে ৭১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। মূল রাস্তা ও তার দু’পাশের রাস্তা মিলিয়ে ২১ মিটার চওড়া হলে আমূল পালটে যাবে ময়নাগুড়ি শহরের চালচিত্র। রাস্তার দু’ধারে অসংখ্য দোকানপাট ভাঙা পড়বে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এগজিকিউটিভ সহ এক বিশেষ প্রতিনিধিদল আসে ময়নাগুড়ি পুরসভায়। পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা রাস্তার নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (এনএইচ-৯) দেবব্রত ঠাকুর এদিন বলেন, ‘ময়নাগুড়ি শহরের ওপর দাড়িভেজা মোড় থেকে বিডিও অফিস মোড় পর্যন্ত মূল রাস্তাটি বাড়িয়ে ১০ মিটার চওড়া করা হবে। রাস্তার দু’ধারে পাকা রেলিং থাকবে। রেলিংয়ের দু’ধারে আরও সার্ভিস রোড নির্মাণ করা হবে। সেই দুটি রাস্তা সাড়ে পাঁচ মিটার করে চওড়া হবে। তার দু’ধারে থাকবে ঢাকনা দেওয়া পাকা নর্দমা। খুব শীঘ্রই দিল্লিতে এই প্রকল্প পাঠানো হবে। অনুমোদন মিললে কাজ শুরু করা হবে।’
শহরের ওপর দিয়ে যাওয়া চার কিলোমিটার জাতীয় সড়কের দু’ধারে গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার কাজ করেছিল পুরসভা। বেশ কিছু কাজ হয়েও গিয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী বলেন, ‘এদিন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সহ বিশেষ প্রতিনিধিদল আসার পর বিস্তারিত আলোচনা হয়। তারপরই গ্রিন সিটি প্রকল্পের আওতায় শহরকে আলোয় সাজিয়ে তোলার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ময়নাগুড়ি টাউন ব্লক সহ সভাপতি ঝুলন সান্যাল মনে করেন, শহরের সার্বিক চালচিত্র বদলে যাবে। শহরকে যানজটমুক্ত করতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই রাস্তা চওড়া করার। সবমিলিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের যে ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে তাতে শহরের অসংখ্য দোকানপাট ভাঙা পড়বে। গুমটি সহ অসংখ্য পাকা দোকানপাটও ভাঙা পড়বে বলেই আশঙ্কা। এছাড়াও এই জাতীয় সড়কের দু’ধারে নয়ানজুলি বেদখল হয়েছে আগেই। সেখানে প্রচুর পাকা দোকান গজিয়ে উঠেছে। রাস্তা নির্মাণ করার জন্য সেগুলোও ভেঙে দিতে হবে।