নকশালবাড়ি: নদীর চর দখলে বাধা দেওয়ায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার (পিএসও) পরিচয় দিয়ে তৃণমূল নেতাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার এই হুমকিকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয় হাতিঘিসায়। এনিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা তথা নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরফ আনসারি। আসরফের কথায়, ‘মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পিএসও পরিচয় দিয়ে অমিত বলে একজন তাঁর জামাইয়ের জমিতে আমাকে না যাওয়ার হুমকি দেন। সেখানে গেলে আমাকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারির ভয় দেখান। এছাড়া দলীয়ভাবে পদক্ষেপ করার হুমকি দেন। তাতে কোনও কাজ না হলে পার্টির ফান্ডের প্রলোভন দেওয়া হয়। চারবার ফোনে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে হাতিঘিসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বীরসিংজোতের গাজিরাম মৌজায় বামনঝোরা নদীর চর দখল করে কংক্রিটের সীমানা ও প্লটিংয়ের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা নির্মাণকাজে বাধা দিতে গেলে জমি মাফিয়াদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। খবর পেয়ে এলাকায় যান নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরফ আনসারি। সেখানে গিয়ে দেখেন, অর্ধেক নদী দখল করে প্রায় ৫০ ফুট অংশে চলছে অবৈধ নির্মাণ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে কাজ আটকে দেন।
অভিযোগ, কাজ আটকানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই আসরফের মোবাইলে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পিএসও পরিচয় দিয়ে একজনের ফোন আসে। তিনি কর্মাধ্যক্ষকে হুমকি দেন। মঙ্গলবার এনিয়ে ব্লক প্রশাসনে অভিযোগ জানিয়েছেন আসরাফ আনসারি। এছাড়া নকশালবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন। গোটা ঘটনার পিছনে স্থানীয় এক জমি মাফিয়া রয়েছে বলে দাবি কর্মাধ্যক্ষের।
আসরাফ বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দলের জেলা নেত্রী পাপিয়া ঘোষ এবং মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে অমিত নামে মন্ত্রীর কোনও পিএসও নেই বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’
নকশালবাড়ি বিএলএলআরও বিপ্লব হালদার বলেছেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। এলাকা পরিদর্শন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’