শিলিগুড়িঃ সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার উত্তেজনা ছড়াল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতের। শিশুর পরিবারের তরফে অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে মেডিকেল কলেজ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সুপার সঞ্জয় মল্লিক।
জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর শান্তিপাড়ার বাসিন্দা পলি মণ্ডল প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে।১১ নভেম্বর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পলি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি প্রিম্যাচিওর হওয়ায় তাকে রাখা হয় মেডিকেলের নিকু ওয়ার্ডের ইনকিউবেটরে। মঙ্গলবার শিশুটির পরিবারকে জানানো হয়, শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হবে। কিন্তু প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের। শিশুটির বাবা সৌরভ ঘোষ বলেন, ‘বারবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে অনুরোধ করেছি শিশুকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক অয়ন সেনগুপ্ত আমাদের জানিয়ে দেন ভেন্টিলেশন খালি নেই। এদিন রাত ৯টা নাগাদ নিকুতে গিয়ে দেখি বাচ্চা নড়াচড়া করছে না। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়ে দেন সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মৃত্যু হয়েছে শিশুটির।’
এদিকে, শিশু মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই মেডিকেল কলেজে প্রসূতি বিভাগের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিশুটির পরিবারের লোকেরা। তাদের বক্তব্য, চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে পলি মণ্ডলের এক আত্মীয় পাপড়ি ঘোষ বলেন, ‘যে ডাক্তার দের জন্য একসময় গোটা বিশ্বের মানুষ একসময় প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল সেই ডাক্তারের জন্যই আজ আমার নাতি মারা গিয়েছে। সন্ধ্যা ৭ টায় শিশুটি মারা গেল এদিকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কেও জানতেই পারল না।’
এই বিষয়ে পরিবারের লোকজন রাতেই মেডিকেল সুপার সঞ্জয় মল্লিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই ব্যপারে সুপার বলেন, বিষয় টি শুনেছি। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।