রণজিৎ ঘোষ, শিলিগুড়ি : ডাল ছাঁটার নামে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গাছের বড় বড় ডাল কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ডাল কাটার পর সেগুলি হাপিসও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে, বন দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে এভাবে গাছের ডাল কেটে ফেলা যায় কি? হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেছেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য হাসপাতালজুড়ে বিভিন্ন করিডরে গাছের ছোট ডাল ছাঁটতে হচ্ছে। তা না হলে করিডর এবং ওয়ার্ডের আশপাশের এলাকার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরাবন্দি করা যাচ্ছে না। তবে, বড় ডাল কাটা হয়নি।’
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে, বড় ডাল কেটে গাছ কার্যত ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীরাও।
প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘গাছগুলিকে ন্যাড়া দেখে খুব খারাপ লাগছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে চারদিকে আলোচনা চলছে। যত বেশি সম্ভব গাছ লাগানোর কথা বলা হচ্ছে। আর সেখানে মেডিকেলে যথেচ্ছভাবে গাছের বড় ডাল কেটে ফেলা হচ্ছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘গাছের ডালপালা ছাঁটা আর বড় ডাল কেটে ফেলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ঘটনা নজরে আসার পরই আমি হাসপাতাল সুপারকে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছি।’
এদিকে, সারাবছর মেডিকেলে বৃক্ষরোপণ এবং গাছের পরিচর্যা করে ‘আমরা বেকার’ নামে একটি সংস্থা। সংস্থার পক্ষে সজল দত্ত বলেন, ‘এভাবে ডালপালা কাটা হলে গাছগুলি মরে যাবে। যেভাবে মেডিকেলে গাছকে ন্যাড়া করে ডালপালা কেটে ফেলা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিষয়টি নিয়ে সুপারের সঙ্গে কথা বলব।’
এদিন মেডিকেলের ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের সামনে গিয়ে দেখা গেল, দেবদারু গাছের প্রচুর মোটা ডাল কেটে ফেলা হয়েছে। তা দেখে অনেক হাসপাতালকর্মীও আক্ষেপ প্রকাশ করলেন। তাঁদের কথায়, ‘ডাল কেটে তখনই তা টোটোয় চাপিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এভাবে ডাল না কাটলেই ভালো হত।’