লুসানে: অলিম্পিকের পর ডায়মন্ড লিগ। সোনা অধরা থেকে গিয়েছে ভারতের তারকা অ্যাথলিট নীরজ চোপড়ার। লুসানে ডায়মন্ড লিগে ব্যক্তিগতভাবে মরশুমের সেরা থ্রো (৮৯.৪৯ মিটার) করেও রুপোতেই থেমে থাকতে হল তাঁকে। অবশ্য শুরুর দিকে ভালো ছুড়তে পারেননি নীরজ। প্রথম চারটি থ্রোয়ের পর তিনি চতুর্থ স্থানে ছিলেন। তবে শেষ থ্রোয়ে দুরন্তভাবে প্রত্যাবর্তন করে রুপো নিশ্চিত করেন এই ভারতীয় তারকা। এই প্রসঙ্গে নীরজ বলেছেন, ‘শেষদিকে আমার শরীর খুব ভালো অবস্থায় ছিল না। কিন্তু মনে লড়াই করার জেদ ছিল। তাই শেষ থ্রো করার সময় কোনও কিছু না ভেবে শুধু নিজের সেরাটা দিয়েছিলাম।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘শুরুটা খুব ভালো হয়নি। তবে শেষদিকে প্রত্যাবর্তন খুব ভালো হয়েছে। নিজের প্রত্যাবর্তনে খুব খুশি। লড়াইটা খুব উপভোগ করেছি। অত্যন্ত উচ্চমানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে লড়াইয়ের মানসিকতা থাকাটা জরুরি।’
অনেকেই ভেবেছিলেন অলিম্পিকের সোনা হাতছাড়া হওয়ার জ্বালা মেটাতে ডায়মন্ড লিগে নিজের সেরাটা দেবেন তিনি। তার ওপর অলিম্পিকের সোনাজয়ী পাকিস্তানী অ্যাথলিট আর্শাদ নাদিম নামেননি ডায়মন্ড লিগে। নিজের সেরাটা দিয়েছেন নীরজ। কিন্তু অভীষ্ট লক্ষ্য পূরণ হল না। গ্রেনাডার অ্যান্ডারসন পিটার্সের কাছে হারতে হয়েছে তাঁকে।
শেষ থ্রোয়ের সময় নীরজকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন কেনিয়ার অ্যাথলিট ইয়াগো জুলিয়াস। তিনি বলেছেন, ‘শেয থ্রোয়ের সময় জুলিয়াস আমাকে শান্ত থাকতে বলেছিল। আমি সেটাই করার চেষ্টা করছিলাম। শুরুতে আমি ভাবিনি এতটা দুরে ছুড়তে পারব। তবে শেষটা আমার ভালো হয়েছে।’
প্রথম চারটি থ্রোয়ের একটিতেও ৮৫ মিটার টপকাতে পারেননি নীরজ। পঞ্চম থ্রোয়ে তিনি ৮৫.৯৮ মিটার ছুড়ে তৃতীয় স্থানে উঠে আসেন। শেষ থ্রোয়ে পিটার্স ৯০.৬১ মিটার ছোড়েন। ফলে সোনা জিততে গেলে শেষ থ্রোয়ে প্রায় ৯১ মিটার ছুড়তে হত ভারতীয় তারকাকে। কিন্তু ৮৯.৪৯ মিটার ছুড়ে রুপো জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। এদিন রুপো জিতলেও নতুন নজির গড়েছেন এই ভারতীয় তারকা। তিনি একটানা ২১৭৪ দিন ধরে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় প্রথম তিনে শেষ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে টানা ২৩টি প্রতিযোগিতায় প্রথম তিনে শেষ করার কীর্তি স্থাপন করেছেন এই তারকা।