উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নিট পরীক্ষার ফল বেরোনোর পরে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ইস্তফা চেয়ে সংসদে গলা ফাটিয়েছে বিরোধীরা। নিট দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবি আই। বিভিন্ন রাজ্য থেকে নিটের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে বহু। মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাট এবং ছত্তীসগঢ়ের মোট ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্ক দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়েই দেশ জুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। এই বিতর্কের মাঝেই সোমবার প্রকাশিত হল পুনরায় নিট ইউজি পরীক্ষার ফলাফল। ডাক্তারিতে স্নাতকে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষায় পুনরায় ১৫৬৩ জন ছাত্রছাত্রীর টেস্ট নেওয়া হয়েছিল। সেই রি-টেস্টের রেজাল্ট আজ ঘোষণা করা হল।
গত ২৩ জুন পুনঃপরীক্ষায় বসেন ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী। ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীর নিট পরীক্ষা বাতিল করেছিল আদালত। তাঁদের জন্য ‘অতিরিক্ত নম্বর’ পাওয়ার কারণে ফের নিট পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষায় বসেননি প্রায় ৫০ শতাংশ পড়ুয়া। ১৫৬৩ জনের মধ্যে কেবল ৮১৩ জন পরীক্ষা দেন। আজ এই রি-টেস্টের ফল প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্ট এজেন্সি (এনটিএ)। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনটিএ-র তরফে রেজাল্টের বিষয়ে জানানো হয়েছে। এনটিএ-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে স্কোরকার্ড দেখতে পাবেন পরীক্ষার্থীরা।
নিট পরীক্ষার ফল বেরোনোর পরে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ৬৭ জন পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ১০০ শতাংশ নম্বর। এরপরই নিট পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে পরীক্ষার্থী ও অবিভাবক মহলে। বিষয়টি শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মেঘালয়, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, গুজরাট এবং ছত্তীসগঢ়ের মোট ছ’টি পরীক্ষাকেন্দ্রে দেরিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে অতিরিক্ত নম্বর বা গ্রেস মার্ক দেওয়া নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র জানায় যে, অতিরিক্ত নম্বর বাতিল করা হচ্ছে। চাইলে আবার পরীক্ষা দিতে পারবেন ওই পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু পরীক্ষা না দিলে অতিরিক্ত বা বাড়তি নম্বর বাতিল হবে। এরপরই গত ২৩ জুন ১৫৬৩ জনের রিটেস্টের আয়োজন করা হয়। যেখানে ৭৫০ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেননি। সোমবার সেই রি-টেস্টেরই ফল প্রকাশিত হয়েছে।