উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ হাজার বার বলার পরেও ফিরছে না কর্মসংস্কৃতি। কিছুতেই আটকানো যাচ্ছে না অফিসে দেরি করে ঢোকা। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কে কার কথা শোনে! কোনও না কোনও অজুহাত লেগেই রয়েছে। অফিসে দেরি করে ঢোকা বন্ধ করতে এবার কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নয়া সার্কুলার জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অফিসে ঢুকতে ১৫ মিনিটের বেশি দেরি হলে তা গ্রাহ্য করা হবে না। সেক্ষেত্রে কাটা যাবে মাইনে।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকালে ৯টা ১৫-এর বেশি দেরি করে অফিসে ঢুকলে ক্যাসুয়াল লিভ থেকে অর্ধ দিনের ছুটি কাটা যাবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘কোনও কারণে যদি কোনও কর্মী নির্দিষ্ট দিনে অফিসে হাজিরা দিতে না পারেন তবে আগে থেকে ঊর্ধ্বতন অফিসারকে আগে থেকে জানাতে হবে। ক্যাসুয়াল লিভের আবেদন জানাতে হবে।’ সার্কুলারে কর্মীদের সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা তাঁদের বিভাগ অনুযায়ী কর্মচারীদের উপস্থিতি ও সমানুবর্তিতার উপর নজর রাখবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসগুলি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকে। অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে অফিসে ঢুকছেন। আবার সময়ের আগেই অফিস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও তাঁদের দেরি করে আসার অভ্যাস পালটানো যাচ্ছে না। আর এরফলে সরকারি পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
করোনাকালে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নিয়ম বন্ধ রাখা হয়েছিল প্রতিটি সরকারি অফিসে। তবে কোভিড মহামারী কেটে যাওয়ার পর ফের বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেককর্মীই তা গ্রাহ্যই করছেন না। সবকিছুতেই তাঁদের ঢিলেমি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার অফিসের টাইম নিয়ে কড়াকড়ি নিয়ম চালু করতে চায়। তবে সেই সময় অনেক কর্মচারীই বিষয়টির বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই যুক্তি দেখিয়েছিলেন অনেক দূর থেকে অফিস আসতে হয় তাঁদের। কর্মীদের কাজে ফাঁকি রুখতেই এবার নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। আশা করা হচ্ছে এই নয়া নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে কর্মীদের মধ্যে কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আসবে ও যাঁরা ১০টা কিংবা তারও পরে অফিসে ঢোকেন তাঁদের অভ্যাসও পরিবর্তন হবে।