সৌরভকুমার মিশ্র, হরিশ্চন্দ্রপুর: তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছিল পাবলিক কমিউনিটি টয়লেট। তারপর কয়েক মাস কেটে গিয়েছে। রহস্যজনকভাবে সেটি তালাবন্ধ। এদিকে, চাবি কার কাছে রয়েছে জানে না কেউ।
হরিশ্চন্দ্রপুর (Harishchandrapur) পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি পাবলিক কমিউনিটি টয়লেট (Public community toilet) তৈরি হয়। শৌচাগার না থাকায় বাস ধরতে এসে সমস্যায় পড়ছেন মহিলা ও বয়স্করা। বাধ্য হয়ে বাসস্ট্যান্ডের পাশে বাগানে কিংবা রাস্তার ধারে বসে শৌচকর্ম সারতে হচ্ছে তাঁদের। পরিবেশ দূষণ তো হচ্ছেই, বাড়ছে দৃশ্য দূষণও। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানো হয়েছে। অথচ ভ্রূক্ষেপ নেই কারও।
প্রশাসন সূত্রে খবর, তিন লক্ষ টাকায় বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীদের জন্য এই কমিউনিটি স্যানিটারি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর কারণ কী, জানেন না স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তারা।
চৈতু দাস নামে এক বাসিন্দার দাবি, ‘তৈরি হওয়ার পর থেকেই দেখছি, এটা তালাবন্ধ। যাত্রীরা সমস্যায় পড়ছেন পাবলিক টয়লেট না থাকায়। অবিলম্বে প্রশাসন এই শৌচালয় চালু করুক।’
স্থানীয়রা জানান, এই টয়লেট পরিষ্কার করার দায়িত্ব বণ্টন এবং যাত্রীদের কাছ থেকে কী পরিমাণ টাকা আদায় করা হবে, সেই নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত না হওয়ায় নাকি টয়লেট চালু হয়নি। অনেকে বলেন, এই টয়লেট উদ্বোধন নিয়ে শাসকদল ও পঞ্চায়েতে থাকা সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি জোটের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অজয় পাসমান জানান, কেন বন্ধ রয়েছে আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।
এলাকার বিধায়ক তাজমুল হোসেনের আশ্বাস, ‘অবিলম্বে খোলার ব্যবস্থা করছি।’ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ‘আমি প্রধানকে বলেছি আজ বিকেলের মধ্যেই যাতে খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে লক্ষাধিকে তৈরি এই শৌচাগারের চাবি এমন কোন কারণে প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না।