জসিমুদ্দিন আহম্মদ, মালদা: বিয়ে মানে বন্ধন। সে কথা সবাই জানে। কিন্তু বিয়ে যে মানবিকতারও বাহক হতে পারে, কে জানত! এবার সাত পাকে বাঁধা পড়ে প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে মরণোত্তর দেহদান করে নজির গড়লেন মালদার নবদম্পতি(Couple)। শুক্রবার রাতে মালদা(Malda) মেডিকেলের অ্যানাটমি বিভাগের মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গিকারপত্রে স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথ কলোনির বাসিন্দা ধ্রুব দাস। সকলে তাঁকে সমাজসেবী বলেন। বুধবার স্থানীয় রিঙ্কা দাস নামে এক তরুণীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। বিয়ের পরের দিনই মরণোত্তর দেহদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন ধ্রুব। স্বামীর এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেই ক্ষান্ত হননি রিঙ্কা। সঙ্গে নিজেও দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তাঁরা ঠিক করেন, বৌভাত অনুষ্ঠানেই মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করবেন। সেই ভাবনার কথা মালদা জাগরণ ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে জানান। সংস্থার তরফে শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে অঙ্গিকার ফর্ম আনা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন তাঁরা।
ধ্রুব দাস বলেন, ‘আমাদের দুজনেরই ইচ্ছে, মৃত্যুর পর দেহ দাহ না করে মেডেকেলে চিকিৎসা শাস্ত্রের পড়ুয়াদের জন্য দান করা হোক। আমরা দেহদানের জন্য বৌভাতের অনুষ্ঠানের দিনটি বেছে নিয়েছিলাম। আজ অঙ্গিকারপত্রে স্বাক্ষর করলাম। আমাদের শরীর নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ডাক্তারি পড়ুয়াদের কাজে এলে আমাদের দান সার্থক।’