গৌরহরি দাস, কোচবিহার: যাত্রীসুরক্ষা বৃদ্ধিতে নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে (এনএফআর) (NFR) এবার এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের চিন্তাভাবনা শুরু করল। শুধু চিন্তাভাবনাই নয়, গত মঙ্গলবার রেলে যাত্রীসুরক্ষা, পরিচালনামূলক দক্ষতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি গুয়াহাটির (আইআইটিজি) সঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে চারটি মউ স্বাক্ষর করেছে। এনএফআরের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব এবং অন্য আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আইআইটি গুয়াহাটি প্রাঙ্গণে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এনএফআরের আধিকারিকদের পাশাপাশি আইআইটিজি’র ডিরেক্টর প্রফেসর দেবেন্দ্র জালিহাল ছিলেন। এনএফআরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জলকিশোর শর্মা বলেন, ‘মউ স্বাক্ষরের চুক্তিগুলি বাস্তবায়িত হলে যাত্রী এবং রেলওয়ে কর্মীদের যথেষ্ট উপকৃত করবে। এতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আধুনিকীকরণে বড় পরিবর্তন আসবে।’
এনএফআর সূত্রে খবর, স্ট্যান্ড-অ্যালোন হাইস্পিড ক্যামেরা ব্যবহার করে কার্গো ট্রেনগুলির নষ্ট এবং সঠিক সিল শনাক্তকরণের গুরুত্ব আরোপ করার ওপর মউ স্বাক্ষরিত হয়। গুয়াহাটির আইআইটি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ডিজাইন করা এই সিস্টেমের লক্ষ্য হবে চুরি প্রতিরোধ করে সুরক্ষা ও পরিচালনগত দক্ষতা শক্তিশালী করা এবং পণ্যবাহী ট্রেনের নিরাপদ পরিবহণ নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় চুক্তিটি হয় মূলত যাত্রীদের সুরক্ষাবৃদ্ধির লক্ষ্যে। সম্ভাব্য অপরাধমূলক কার্যকলাপ শনাক্ত করতে এবং এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে ফেস রেকগনিজেশন ও অ্যালার্ট সিস্টেমের উন্নয়নে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে এই চুক্তিতে। উন্নত মেশিন লার্নিং এবং এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই পদক্ষেপ যাত্রীদের জন্য এক সুরক্ষিত ভ্রমণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে। তৃতীয় চুক্তিটি হল, ট্রেনে অ্যালার্ম চেন পুলিং মেকানিজমের জন্য রিয়েল টাইম অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করার মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পরিচালনমূলক প্রতিযোগিতার মোকাবিলা করবে। এই সিস্টেমটি ট্রেন পরিচালনার সময় প্রেশার ড্রপ এবং ইমার্জেন্সি রিক্রিয়েশনের মতো সমস্যাগুলি হ্রাস করে সুগম ভ্রমণ এবং উন্নত পরিচালনামূলক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। চতুর্থ চুক্তিটির লক্ষ্য, রেলওয়ে কলোনি চত্বর এবং কোচিং ডিপোগুলির এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) এবং সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উন্নতি করা। এই পদক্ষেপ রেলওয়ে চত্বরের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সবুজ পরিবেশতন্ত্রকে উৎসাহিত করবে। যা রেলওয়ে কমিউনিটির সামগ্রিক কল্যাণে ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই চুক্তিটিতে অঞ্চলটির রেলওয়ে পরিচালনগত দক্ষতা, সুরক্ষা ও স্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।