পুন্ডিবাড়ি: জাতীয় সড়কের ধারে রয়েছে দুটি স্কুল। অথচ স্কুলদুটির তিনদিকে নেই কোনও সীমানা প্রাচীর। একপাশে সীমানা প্রাচীর থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। স্কুলে পাঠিয়ে সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সবসময় ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন অভিভাবকরা। কথা হচ্ছে কোচবিহার-শিলিগুড়ি ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত যজ্ঞনারায়ণেরকুঠি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সত্যজিৎ জুনিয়ার হাইস্কুলের। মধুপুর গ্রামের যজ্ঞনারায়ণেরকুঠিতে একই চত্বরে স্কুলদুটি অবস্থিত। অনুদান আসেনি বলে প্রাচীর নির্মাণ করা যাচ্ছে না বলে দাবি দুই স্কুল কর্তৃপক্ষের।
কোচবিহার-শিলিগুড়ি ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই জাতীয় সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। জাতীয় সড়কের পাশে প্রাচীরবিহীন এই স্কুলের সামনে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। অভিভাবকরা তো বটেই, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এলাকাবাসী সুব্রত নাহা বলেন, ‘একই চত্বরে দুটো স্কুল রয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা সবসময় জাতীয় সড়ক পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে এবং বিদ্যালয়ের মাঠেই খেলাধুলো করে। হঠাৎ করে কেউ রাস্তায় উঠে গেলে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা চাই, দ্রুত বিদ্যালয়ের চারদিকে প্রাচীর নির্মাণ করা হোক।’ একই কথা বললেন এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় রায়, বিনোদ দাসরাও।
দুর্ঘটনার আশঙ্কার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সত্যজিৎ জুনিয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বাধীন সরকার এবং যজ্ঞনারায়ণেরকুঠি নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিজিৎ দে সরকার। স্বাধীন বললেন, ‘এই নিয়ে আমরাও সবসময় চিন্তিত থাকি। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রাচীর নির্মাণের অনুদান পাওয়া যায়নি। যার ফলে প্রাচীর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ তবে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকে তাঁদের সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলে জানান অভিজিৎ।
জাতীয় সড়কের পাশে এভাবে প্রাচীরবিহীন স্কুল ট্রাফিক পুলিশেরও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুণ্ডিবাড়ি ট্রাফিক বিভাগের ওসি দধিরাম বর্মন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই বিদ্যালয়ের সামনে ব্যারিয়ার বসানো হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।