শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: বাগান খোলার পর প্রায় দু’বছর ঘুরতে চলেছে। এখনও মেলেনি জমির লিজ। জরাজীর্ণ ফ্যাক্টরির সংস্কারের কাজ একটা সময় নতুন উদ্যমে শুরু হলেও তা এখন থমকে আছে। পাঁচটি জেনারেটর দিয়ে কৃত্রিম জলসেচ সহ বাংলো, অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে গিয়ে খরচের পরিমাণ বাড়ছে হুহু করে। সব মিলিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দুই চা বাগান রেড ব্যাংক ও সুরেন্দ্রনগরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ তেড়েফুঁড়ে শুরু হলেও এখন তাতে ভাটার টান। ঘরপোড়া গোরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়। ওই বাগান দুটির ভুক্তভোগী শ্রমিকরাও সবকিছু দেখেশুনে তাই চরম উদ্বিগ্ন। বাগান বন্ধ থাকার সেই পুরোনো আতঙ্ক বুকে চেপে রেখেই শুক্রবার ইভিএমের বোতাম টিপবে একসময়ে একের পর এক শ্রমিকের অভাবী মৃত্যুতে বহুচর্চিত ওই দুই বাগান। ঘুরে দাঁড়াতে শ্রমিকরা বর্তমান মালিকের প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করার পাশাপাশি দ্রুত যাতে জমির লিজ মেলে সেই দাবিতেই যে ভোট দেবেন এমন কথা খোলাখুলিই জানাচ্ছেন।
২০ বছর ধরে বন্ধ থাকা রেড ব্যাংক-সুরেন্দ্রনগরের পরিচালনার ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সুশীলকুমার পাল। তিনি খোলাখুলিই বলছেন, ‘প্রায় দু’বছর হতে চলল। ইতিমধ্যেই বাজেট ফেল হয়ে গিয়েছে। তবুও জোড়াতালি দিয়ে বাগান চালানো হচ্ছে। বাধ্য হয়ে ফ্যাক্টরি সংস্কারের কাজ ৮০ শতাংশ এগিয়ে যাওয়ার পরও বন্ধ রাখতে হয়েছে। নয়তো শ্রমিকদের কাজ দিতে পারব না। জমির লিজ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে ঋণ পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় জেনারেটর দিয়ে কতদিন আর কাজ চালানো যায়। আমি নিজেও অত্যন্ত উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছি।’ তাঁর সংযোজন, লিজ ও বিদ্যুতের আবেদন বহু আগেই করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত প্রশাসনিক সহযোগিতা মিলবে।
রেড ব্যাংক খোলে ২০২২-এর ১০ অগাস্ট। দুই বাগানে সংস্কারের কাজ শুরু হয় জোরকদমে। ৫০০ একর জমিতে নতুন করে রোপণ করা হয়েছে। পরিচর্যার অভাবে মরে যাওয়া গাছ উপড়ে ফেলে সেই স্থানে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ চারা রোপণ করা হয়েছে। আগের ফ্যাক্টরি পুরো ভেঙে দিয়ে শুরু হয় নতুন ফ্যাক্টরি তৈরির কাজ। তা এখন আর্থিক টানাটানিতে বন্ধ রয়েছে।
দীপাঞ্জলি সাবার নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘মালিকের চেষ্টায় খামতি দেখছি না। তবে লিজ না পেলে তিনিও বা আর কতদিন এভাবে বাগান চালাবেন।’ এখানে এবার ভোটের দাবি- লিজ দাও। শ্রমিক বাঁচাও। ববিতা বাসমালি নামে আরেক শ্রমিক বলছেন, লিজ প্রাপ্তির মধ্যে শুধু মালিক নয়। শ্রমিকদেরও বৃহত্তর স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে। বন্ধ থাকার সেই অভিশপ্ত দিনগুলি কোনওদিন ভোলার নয়। শিখা সরকার নামে এক শ্রমিক বলছেন, ‘প্রতি বাড়ি থেকে একজনের কাজ মিলেছে। পরিস্থিতি ভালো হলে বাকিদেরও কাজ মেলার কথা। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’ দেবসা মুন্ডা নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখার জন্যেই নয়া মালিককে জমির লিজ ও সেই সঙ্গে ফ্যাক্টরির বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান অত্যন্ত জরুরি। নয়তো অতীতের সেই কালো দিন ফিরে আসার ছবি কেন জানি ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।’
শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (NBU)-র গবেষক ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। অভিযুক্ত অধ্যাপক সিদ্ধার্থ…
মালদা: অপরিপক্ক লিচুর বিক্রি বন্ধে এবার মালদায় (Malda) আমবাজারে হানা দিল স্বাস্থ্য সুরক্ষা দপ্তর। মঙ্গলবার…
হেমতাবাদঃ আবারও কি ফিরে আসছে চিটফান্ড? কম সময়ের মধ্যে টাকা দ্বিগুণ করার টোপ দিয়ে হেমতাবাদে…
মালদা: আইনত বিয়ের পরেও স্ত্রীর মর্যাদা দিতে নারাজ স্বামী। এমনকি, ওই তরুণীকে মারধরের পাশাপাশি খুনের…
সিদ্ধার্থশংকর সরকার, পুরাতন মালদা: পুরাতন মালদা (Old Malda) শহরের মির্জাপুর মোড়ের উপর পূর্ত দপ্তরের রাস্তা…
বৈষ্ণবনগর: বাস্তব এবং ভার্চুয়াল, এই দুই জগতের দৌড়ে বোধহয় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বাস্তবতা। শনিবার এক…
This website uses cookies.