জটেশ্বর: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউবিএসইটিসিএল)-এর কর্মীদের মারধর এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার জটেশ্বর উত্তর মণ্ডলের এক প্রাথমিক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল ফালাকাটা থানার পুলিশ। শিক্ষকের নাম, অর্ধেন্দু বণিক। বাড়ি জটেশ্বর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষীরেরকোট এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফালাকাটার দুইমাইল এলাকার চান্দামারিতে ডব্লিউবিএসইটিসিএলের তরফে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুতের সাবস্টেশন। সেই সাবস্টেশন থেকে আউপুট পিলার তৈরি হচ্ছে চান্দামারি হরিনাথপুর, ক্ষীরেরকোট এলাকার মধ্য দিয়ে। সেখানে মুজনাই নদী সংলগ্ন এলাকায় একটি ফাঁকা জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়। যে জমিতে খুঁটি বসানো হয় সেই জমিটি অভিযুক্ত অর্ধেন্দু বণিক নিজের বলে দাবি করেন। অথচ কোনওরকম কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। সেই জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি কেন বসানো হয়েছে এবং কার অনুমতিতে বসানো হয়েছে সেই অভিযোগ তুলে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। ডব্লিউবিএসইটিসিএলের অ্যাডিশনলান চিফ ইঞ্জিনিয়ার পি এল পাণ্ডে বলেন, ‘ফালাকাটাবাসীর জন্য একটি সাবস্টেশন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আর সেখানে ওই ব্যক্তি নানাভাবে কাজে বাধা দিয়েছেন। অনেকদিন থেকেই এমনটা হয়ে আসছিল।’
ফালাকাটা থানার পুলিশ জানায়, অর্ধেন্দু বণিকের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের ক্ষেপিয়ে তোলা, হরিনাথপুর খাড়াকদম সহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে ভুল বোঝানোরও অভিযোগ রয়েছে। এনিয়ে আগেও তার নামে অভিযোগ দায়ের হয়। এদিন নতুন করে অভিযোগ দায়ের হল। এদিকে এই ঘটনায় তার রাজনৈতিক জীবন নিয়েও জল্পনা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি পোস্টও হতে সেখানে অভিযুক্ত শিক্ষককে আরএসপি নেতা বলেও উল্লেখ করা হয়। এবিষয়ে আরএসপি’র জোনাল সম্পাদক জ্ঞানেন দাস জানান, অর্ধেন্দু বণিক তাঁদের দলের কেই নন। তার বাবা দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন, সেই সুবাদে পরিচিত। এর চেয়ে বেশি কিছু না। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।