Old Malda | বন্ধ ছিল মিড-ডে মিল, সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে বিতর্কে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক

পুরাতন মালদাঃ মিড-ডে মিল সংক্রান্ত বিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ ভিডিও প্রকাশ্যে এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে বিতর্কে জড়ালেন মালদা চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ভরত ঘোষ। ঘটনায় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়েছে ডিস্ট্রিক্ট ইন্সপেক্টর প্রাইমারি সেকশনে। অভিযোগ জানিয়েছেন পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাদিরপুর নিউ জিএসএফ প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ। গোটা ঘটনায় জেলার শিক্ষা মহলে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে। একজন বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের করা এমন অভিযোগে শিক্ষা মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। ঘটনায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বৃষ্টিপাত হয় পুরাতন মালদা ব্লকে। যে কারণে কাদিরপুর নিউ জিএস এফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের উপস্থিতি ছিল হাতে গোনা। সেদিন মাত্র ১৯ জন পড়ুয়া স্কুলে আসে। শুধু তাই নয়, রাঁধুনীরাও দেরি করে স্কুলে আসেন বলে দাবি স্কুল কর্তৃপক্ষের। ফলে মিড-ডে মিল রান্না হয়নি। এই পরিস্থিতিতে সেদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পড়ুয়াদের শুকনো খাবার দেন। ঘটনাচক্রে সেই দিনই বিদ্যালয়ে যান পরিদর্শক ভরত ঘোষ। তিনি পড়ুয়াদের নিয়ে মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়ে মোবাইলবন্দি করেন। পরে সেই ভিডিওটি তিনি নিজের মালদা সার্কেল ফেসবুক পেজে আপলোড করেন বলে অভিযোগ। এতেই বিতর্কের সূত্রপাত।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত ঘোষ বলেন, “আমার ভুল হলে  উনি বিভাগীয় পদক্ষেপ নিতে পারতেন। সেটা না করে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সুযোগে আমার বিদ্যালয় এবং ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। পড়ুয়াদের নিয়ে ভিডিও বানিয়ে সেটা ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক ইন্সপেক্টর, ডিপিএসসির চেয়ারপারসন, এবং ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।” এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত মুখার্জি বলেন, ‘জেলার মালদা চক্র হচ্ছে ব্যতিক্রমী জায়গা। যেখানে বিদ্যালয় পরিদর্শক নিজেকে বড় কিছু ভাবেন। উনি শিক্ষকদের মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। এনিয়ে বহু অভিযোগ আমাদের   কানে এসেছে। স্কুলে মিড-ডে মিল কোনও কারণে বন্ধ হতে পারে। তাই  বলে আভ্যন্তরীণ বিষয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে আনা যায় না। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।’

অভিযুক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শক ভরত ঘোষ বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নিজের দোষ ধামাচাপা দিতে আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।’