নয়াদিল্লি: বয়স মাত্র ২৪ বছর। তাঁর সামনে ক্রীড়াজগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার অঢেল সুযোগ ছিল। কিন্তু সকলকে অবাক করে টেবিল টেনিস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অর্চনা কামাথ।
সদ্যসমাপ্ত প্যারিস অলিম্পিকে ছাপ ফেলেছিলেন বেঙ্গালুরুর অর্চনা। প্রথমবার দলগত বিভাগে সুযোগ পেয়েই কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উঠে ইতিহাস গড়েছিলেন ভারতের মহিলা প্যাডলাররা। শেষ আটে জার্মানির বিরুদ্ধে ১-৩ ফলে হারতে হয়। সেই ম্যাচে একমাত্র গেমটি সিঙ্গলসে অর্চনাই জেতেন। টপস, ওজিকিউ সহ একাধিক বিনিয়োগকারী সংস্থার আর্থিক সাহায্য তিনি পাচ্ছিলেন। তাহলে কেন এই সিদ্ধান্ত? অর্চনা বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটা নেওয়া অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু লেখাপড়ার প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রতিযোগিতামূলক টেবিল টেনিস থেকে অবসর নিলাম। আমি কখনোই আর্থিক লাভের কথা ভেবে টিটি খেলিনি।’
সিদ্ধান্তটি যে হঠকারী নয়, সেই ব্যাপারেও আলোকপাত করে অর্চনা বলেছেন, ‘প্যারিস অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। জননীতি নিয়ে দুই বছরের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তিও হয়েছি। এই মুহূর্তে অন্যান্য বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে লেখাপড়া বন্ধ রাখতে চাই না।’
প্যারিসে ইতিহাস তৈরি করলেও অলিম্পিকে পদকজয় যে কতটা কঠিন, সেটা বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত। এমনটা জানিয়ে অর্চনার কোচ অনশুল গর্গ বলেছেন, ‘আমি ওকে বলেছিলাম কাজটি কঠিন। এজন্য দীর্ঘসময় কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। বিশ্ব ক্রমতালিকায় ১০০-র ওপরে র্যাংকিং হলেও গত কয়েকমাসে অর্চনা দারুণ উন্নতি করেছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ও মনস্থির করে ফেলেছিল। আমি সত্যিই অবাক।’ কোচের মতোই অর্চনার সিদ্ধান্তে অবাক গোটা দেশ।