সোনাপুর: পাইপ চুরি, রড চুরি এখন অতীত। সাহেবপোঁতায় আতঙ্ক বাড়িয়েছে নলকূপ চোর। বিভিন্ন মানুষের বাড়ি, দোকান এমনকি সরকারি দপ্তর থেকেও নলকূপ চুরি শুরু হয়েছে আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের ওই গ্রামে। চুরির দাপটে জল খাওয়াই অনেকের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে। একটি নলকূপের মতো ছোট চুরি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কেউ মাথা না ঘামালেও গোটা গ্রামের চুরির পরিসংখ্যান কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো।
স্থানীয়দের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত তিনমাসে প্রায় ৫০টি নলকূপ চুরি হয়েছে পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই গ্রামে। তবে শুধু সাহেবপোঁতা বললে ভুল শীলবাড়িহাটের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই অভিযোগ উঠে এসেছে। যদিও এই এলাকায় চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি-ফালাকাটা মহাসড়কের কাজ শুরু হওয়া থেকেই মহাসড়কের বিভিন্ন সামগ্রী চুরি হওয়ার অভিযোগ এসেছে। বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন চুরি হয়েছে তেমনই প্রচুর লোহার রডও চুরি হয়েছে। আবার রাস্তার পাশে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের যে জলের পাইপ ছিল সেগুলোও চুরি হওয়ারও অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লক জুড়েই কিন্তু আলিপুরদুয়ার-ফালাকাটা জাতীয় সড়কের দুই ধারে থাকা ওই পাইপ চুরি হয়েছে।
এই চুরির ঘটনা ব্লকের কিছু জায়গায় কিছুদিন কম থাকলেও সম্প্রতি সাহেবপোঁতায় আবার বাড়তে শুরু করেছে। সাহেবপোঁতায় থাকা পাতলাখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকেই যেমন নলকূপ চুরি হয়েছে। এবিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মন্টু মুন্ডার বক্তব্য, ‘একটি নয় দুটো নলকূপ চুরি হয়েছে। একটি চুরি হওয়ার পর আরেকটি নলকূপ লাগানো হয়েছে। সেটাও চুরি যায়। এলাকায় চুরি অনেকটাই বেড়েছে। এই নিয়ে এখনও থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ না করলেও কয়েক মাস আগে যখন গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় তৈরির রড চুরি হয়েছিল। তখন অভিযোগ করা হয়েছিল।’
সোনাপুর ফাঁড়ির ওসি মিংমা শেরপার বক্তব্য, ‘ফাঁড়ি এলাকায় সব জায়গায় রাতে পুলিশ টহল দেয়। যে কোনও অপরাধ পুলিশের পক্ষ থেকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ওই এলাকার নলকূপ চুরির কোনও অভিযোগ না আসলেও খোঁজ নিয়ে দেখছি বিষয়টি।’