নাগরাকাটা: রং ধরেছে কালিম্পংয়ের স্ট্রবেরিতে (Strawberry)। ফলের মিষ্টি সুবাস ভাসছে পাহাড়জুড়ে। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা কালিম্পংয়ের (Kalimpong) এই স্ট্রবেরি আর কয়েকদিনের মধ্যে বাজারেও চলে আসবে।
গত অক্টোবরে সেখানকার ৩টি ব্লকের তিন শতাধিক চাষিকে উইন্টার ডাউন প্রজাতির স্ট্রবেরি চারা দেওয়া হয়েছিল হর্টিকালচার দপ্তরের তরফে। তার আগে জুলাই মাসেও দেওয়া হয়েছিল দার্জিলিং ম্যান্ডারিন প্রজাতির কমলা গাছের চারা। জেলা হর্টিকালচার অফিসার (ডিএইচও) সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘কমলার চারা থেকে ফল মিলতে সময় লাগে ৬-৭ বছর। মাঝের এই সময়ে চাষিদের বিকল্প সংস্থানের জন্য দেওয়া হয়েছে স্ট্রবেরি।’ কমলার সঙ্গেই ইন্টার ক্রপিং পদ্ধতিতে স্ট্রবেরি রোপণ করে স্ট্রবেরি চাষে কৃষকদের যথেষ্ট উৎসাহ রয়েছে বলে দাবি দপ্তরের।
জেলা হর্টিকালচার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিম্পং-১ ব্লকের সিন্দেবং, পুদুং ও তাসিডিং, লাভা-আলগাড়া ব্লকের দলপচাঁদ, গীতডাবলিং ও গীতবিয়ং-পডং ব্লকের কাগে ও সেকিয়ং এলাকার চাষিদের কমলা ও স্ট্রবেরি চারা দেওয়া হয়েছে। প্লাস্টিক মাঞ্চিং-এর মাধ্যমে ওই স্ট্রবেরি চারা রোপণ করা হয়। ডিসেম্বরের গোড়াতেই ফল হয়ে উঠেছে লাল টুকটুকে। ইতিমধ্যে স্বাদও পরখ করে দেখেছেন হর্টিকালচার দপ্তরের কর্তাদের পাশাপাশি চাষিরাও। সিন্দেবংয়ের নীতু রাই নামক এক চাষির কথায়, ‘এত ভালো স্ট্রবেরি যে এখানে হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারিনি।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে কমলা বা অ্যাভোকাডোর মতো ফলের চারা দেওয়া হলেও কালিম্পংয়ের চাষিদের এই প্রথমবার স্ট্রবেরি দেওয়া হল। পরীক্ষামূলকভাবে করা এই প্রকল্পটি সাফল্যের মুখ দেখলে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক চাষিদের স্ট্রবেরির প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে হর্টিকালচার দপ্তরের।