উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বালোচিস্তান (Balochistan) ট্রেন হাইজ্যাক কাণ্ডে প্রতি মুহূর্তেই দাবি পালটা দাবি উঠে আসছে দুই তরফে। একদিকে বিদ্রোহীদের উপর কব্জা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছে পাক সেনা তো অন্য দিকে সেনার সেই দাবি নস্যাৎ করে পণবন্দিদের হত্যা করার দাবি করছে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি।
বুধবার সন্ধ্যায় বালোচিস্তানে ট্রেন হাইজ্যাকের ঘটনায় পণবন্দীদের সকলকেই উদ্ধার করা গেছে বলে দাবি করে পাকিস্তান। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এক পাক সেনা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ৩৪৬ জন পণবন্দিকে উদ্ধার করা হয়েছে, উদ্ধার অপারেশন চালানোর সময় ৩০ জন বালোচ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ২৮ জন পাক সেনাকর্মীকেও বিদ্রোহীরা হত্যা করেছে বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। এই সেনাকর্মীরা প্রত্যেকেই ওই ট্রেনেরই যাত্রী ছিলেন।
তবে এই দাবির পালটা বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মির তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সরকার তাদের প্রস্তাব না মেনে সেনা অভিযান চালিয়ে যাওয়ায় জাফর এক্সপ্রেসের পণবন্দিদের মধ্যে ৫০ জনকে খুন করা হয়েছে। বুধবার রাতে বিদ্রোহীদের তরফে জানানো হয়েছে, তাদের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আর ২০ ঘন্টা বাকি রয়েছে। যদি এই সময়ের মধ্যে সরকার তাদের দাবি না মেনে নেয় তাহলে বাকি পণবন্দীদেরও হত্যা করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বালুচিস্তানের কোয়েট্টা থেকে ট্রেনটি খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গুলি চালিয়ে ট্রেনটি হাইজ্যাক করা হয়। তখন ট্রেনটিতে ৪৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। শুরুতেই বেশ কিছু সাধারণ নাগরিক, মহিলা ও শিশুদের মুক্তি দিয়েছে জঙ্গিরা। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে সঙ্গে সঙ্গেই বিবৃতি দেয় বালোচ লিবারেশন আর্মি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি জানায়, তাঁরা চায় পাকিস্তানের জেলে আটক বালোচ নেতাদের মুক্তি দিক সরকার। না হলে প্রত্যেক পণবন্দীকে হত্যা করা হবে।