দুবাই: আয়োজক পাকিস্তান। অথচ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই নেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কোনও প্রতিনিধি। জয় শা, রজার বিনি ও দেবজিৎ সইকিয়া-তিন ভারতীয়র সঙ্গে ছিলেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি রজার টুজ।
পাকিস্তান ক্রিকেটমহল যা নিয়ে রীতিমতো অবাক এবং ক্ষুব্ধ। আর যা নিয়ে আইসিসি বনাম পিসিবি-র রীতিমতো যুদ্ধ লেগে গিয়েছে। পিসিবি-র দাবি, দুবাইয়ে রবিবার পিসিবি-র প্রতিনিধি বোর্ডের সিইও সুমাইর আহমেদ ছিলেন। অথচ, আইসিসি-র তরফে তাঁকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডাকাই হয়নি।
পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি এহেন পদক্ষেপে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেন এমন হল, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে জয় শা-র নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বিশ্বের নিয়ামক সংস্থার কাছে। সূত্রটি বলেছে, ‘ফাইনালের দিন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি দুবাইয়ে ছিলেন না। পাক ক্যাবিনেটের বিশেষ বৈঠক ছিল। তাই সিইও-কে পাঠানো হয় দুবাইয়ে। কিন্তু কেন তাঁকে ডাকা হয়নি বোধগম্য নয়।’
অপর সূত্রের দাবি, আইসিসি এবং পিসিবি-র মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। পিসিবি-র সিইও মাঠে ছিলেন, আইসিসি-র কাছে সেই খবর সম্ভবত ছিল না। তবে কোন পরিস্থিতিতে কেন এরকম হল, পিসিবি-র তরফে লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হবে আইসিসি-র কাছে।
চলতি বিতর্কে পিসিবি-র কোর্টেই বল ঠেলেছে আইসিসি। পালটা দাবি, পিসিবি চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারেননি। আইসিসি-র এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী শুধু বোর্ড কর্তারাই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন। পিসিবি চেয়ারম্যানকে আমন্ত্রণও জানানো হয়। পিসিবি-র অন্য কোনও কর্তাও ছিলেন না। আয়োজক হিসেবে পিসিবি-র একজনের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল।’
যে বিতর্কে পিসিবিকেই তুলোধোনা করেছেন শোয়েব আখতার। প্রাক্তন পাক পেসার বলেছেন, ‘ফাইনালের পুরস্কার মঞ্চে অদ্ভুত দৃশ্য দেখলাম। মঞ্চে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কেউ নেই! অথচ, পিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। কারণ আমার বোধগম্য নয়। আয়োজক হিসেবে প্রতিনিধি থাকা উচিত ছিল। এটা দেখে খারাপ লাগছে।’