উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ নেপালের জেল ভেঙে পালানো এক মহিলা পাকিস্তানের নাগরিক পাকড়াও ত্রিপুরায়। ধৃত মহিলা মাদক পাচারচক্রের সদস্য বলে খবর। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সীমান্ত এলাকায়। রবিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার সীমান্ত শহর সাবরুমে।
জানা গিয়েছে, ধৃত এই পাকিস্তানি মহিলার নাম লুইস নিঘাত আখতার ভানো। তাঁকে প্রথমে সাবরুম স্টেশনে আটক করে রেল পুলিশের একটি দল। সাবরুম থানার আধিকারিক নিত্যানন্দ সরকার বলেন, ‘মহিলা সম্ভবত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গতিবিধি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা।’
পুলিশ তাঁকে স্থানীয় আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেপাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে। এই ঘটনা সামনে আসার পর ত্রিপুরার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তাল হয় নেপাল। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা দেশ জুড়ে। পতন হয় ওলি সরকারের। গত সেপ্টেম্বরে নেপালজুড়ে সহিংস বিক্ষোভের জেরে তেরো হাজারেরও বেশি কয়েদি পালায়, যার মধ্যে অনেকেই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন। অনুমান করা হচ্ছে সেই সময়ই ওই মহিলা নেপালের এক জেল থেকে পালিয়ে ভারতে চলে এসেছেন। তাঁর পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ আছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। যদিও নাগরিকত্ব এখনও নিশ্চিত নয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভানো নামে ওই মহিলা পাকিস্তানের শেখুপুরার বাসিন্দা মহম্মদ গোলাফ ফারাজের স্ত্রী। প্রায় ১২ বছর আগে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেপালে প্রবেশ করেন এবং সেখানে মাদক পাচারের কাজ শুরু করেন। ২০১৪ সালে নেপাল পুলিশ তাঁকে ১ কিলোগ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ গ্রেপ্তার করে। পরে আদালত তাঁকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এতদিন কাঠমান্ডু সংশোধনাগারে ছিলেন। কিন্তু গত মাসে নেপালে ব্যাপক অশান্তির সময় একাধিক জেল ভাঙার ঘটনায় পালিয়ে যান বলে খবর।

