নয়াদিল্লি: তাঁদের মধ্যে মিল অনেক। দুজনই ভারতের জ্যাভলিন থ্রোয়ে সেরা মুখ। দুজনই হরিয়ানার। দুজনই বছর তিনেক আগে অলিম্পিকে দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। পার্থক্য শুধু নীরজ চোপড়া টোকিওতে নেমেছিলেন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে। সুমিত আন্টিল অংশ নিয়েছিলেন প্যারালিম্পিকে। সদ্যসমাপ্ত প্যারিস অলিম্পিকে নীরজ সোনা ধরে রাখতে পারেননি। পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের কাছে হারতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু নীরজের পরামর্শ নিয়েই আসন্ন প্যারালিম্পিকে টানা দ্বিতীয় সোনা জয়ের লক্ষ্যে প্যারিসে যাচ্ছেন ২৬ বছরের সুমিত।
২৮ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলা প্যারালিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুমিত ভারতের অন্যতম পতাকাবাহক। এবারের প্যারালিম্পিকে ৮০ মিটারের গণ্ডি টপকানোর লক্ষ্য রয়েছে টোকিওতে সোনাজয়ী সুমিতের। সেখানে নীরজের উপদেশ কাজে লাগাতে চাইছেন সুমিত। তিনি বলেছেন, ‘নীরজভাইয়ের ৮৯.৪৫ মিটার থ্রো দুর্দান্ত প্রচেষ্টা ছিল। চলতি মরশুমে নিজের সেরা থ্রো করেছিল ও। সেটাও আবার চোট নিয়ে। এর থেকেই এই মানুষটার দক্ষতা সম্পর্কে অনেককিছু বোঝা যায়। নীরজভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও বলেছে, প্যারালিম্পিকের মতো আসরে নতুন কিছু চেষ্টা করার দরকার নেই। শুধুমাত্র নিজের প্রস্তুতির উপর ভরসা রাখতে। শান্ত থাকারও পরামর্শ দিয়েছে নীরজভাই।’
টোকিওতে জ্যাভলিন থ্রোয়ের টি৬৪ ক্যাটিগোরির ফাইনালে তিনবার বিশ্বরেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছিলেন সুমিত। সেদিন পঞ্চম প্রচেষ্টায় ৬৮.৫৫ মিটার থ্রো সুমিতকে সোনা এনে দিয়েছিল। গত তিন বছরেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন সুমিত। ২০২২ সালে প্যারা এশিয়ান গেমসে কেরিয়ারের সেরা ৭৩.২৯ মিটার থ্রো করেছিলেন তিনি। গত দুটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনার পদক উঠেছে সুমিতের গলায়। স্বপ্নের ফর্ম প্যারিসেও সুমিত ধরে রাখতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।