গয়েরকাটা: বাস টার্মিনাস কিংবা যাত্রী প্রতীক্ষালয় কিছুই নেই গয়েরকাটা (Gairkata) চৌপথি এলাকায়। রোদ, ঝড়-জল উপেক্ষা করে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়েই বাসের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। তবে সেটাকে একবারের জন্য মেনে নিলেও যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকির আশঙ্কা কোনওভাবেই এড়ানো যায় না। বানারহাট থানার এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর ওপর বিপজ্জনক বাঁকে বাস থামিয়ে যাত্রী তোলা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে দূরপাল্লার ট্রাকগুলিও যাতায়াত করে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী বাস টার্মিনাসের দাবি তুলেছেন। তাঁদের কথায়, এলাকায় বাস টার্মিনাস গড়ে তুললে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে এলাকাবাসীরা নির্দিষ্ট গন্তব্যের জন্য বাস ধরতে পারবেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮-এর প্রকল্প আধিকারিক জিতেন্দ্রকুমার প্যাটেল বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
এদিকে, কয়েকদিন আগে সেখানে ধূপগুড়ি যাওয়ার রাস্তায় বানারহাট ট্রাফিক পুলিশের তরফে ‘নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগিয়ে বাসগুলিকে দূরে দাঁড় করানো হলেও এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যে কতটা কমবে তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
গয়েরকাটার ওপর দিয়ে যাওয়া এশিয়ান হাইওয়ে সবসময়ই দুর্ঘটনাপ্রবণ। বিশেষ করে চৌপথি এলাকায় প্রায়দিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক তরুণ জখম হন। গত বছর ডাম্পারের ধাক্কায় এক ছাত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়। তার ওপর এভাবে সংকীর্ণ বাঁকে বাসে যাত্রী তোলায় সবাই আতঙ্কে। গয়েরকাটা নাগরিক উন্নয়ন মঞ্চের সহ সম্পাদক মনোরঞ্জন টোপ্পোর কথায়, ‘গয়েরকাটা চৌপথির খুব কাছেই সরকারি জমি রয়েছে। যেখানে বাস টার্মিনাস তৈরি করা যেতে পারে। বাস টার্মিনাস তৈরি হলে একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি যাত্রী প্রতীক্ষালয় না থাকাতেও যাত্রীদের অসুবিধায় পড়তে হয়। সেই বিষয়েও কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।’ বানারহাট ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে দুর্ঘটনার মূল কারণ সংকীর্ণ রাস্তা। তবু গয়েরকাটা চৌপথি এলাকায় দুর্ঘটনা রোধের জন্য পুলিশের তরফে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস সরকার বলেন, ‘এভাবে আর কতদিন চলবে। এতে আমাদের প্রাণের ঝুঁকি রয়েছে। এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করা উচিত।’