রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar incident) প্রতিবাদে উত্তাল গোটা রাজ্য। রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠনগুলির ডাকে বুধবার রাজ্যের সব হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ধর্মঘট (Strike) ডাকা হয়েছিল। এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালেও (North Bengal Medical College and Hospital)। এদিন সকাল থেকেই বহির্বিভাগের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ ছিল। সকাল ৯টা নাগাদ বহির্বিভাগ খোলার কথা থাকলেও তা খোলেনি। এমনকি টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল। যার জেরে সকাল থেকে টিকিট কাউন্টারের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যায়। বহু দূরদূরান্ত থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (NBMCH) চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন অনেকে।
তবে বেলা ১১টার পর একটি-দুটি করে বহির্বিভাগ খুলতে শুরু করে। সাড়ে ১১টা নাগাদ কিছুক্ষণের জন্য পেডিয়াট্রিক, ত্বক এবং ইউরোলজির বহির্বিভাগ চালু হয়। অভিযোগ, চিকিৎসকরা একজন, দুজন করে রোগী দেখার পরই উঠে চলে যাচ্ছিলেন। তবে সুপারস্পেশালিটি ব্লকে এদিন নিউরো সার্জারি, পেডিয়াট্রিক বহির্বিভাগ দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা ছিল। তবে ওই ব্লকে বুধবার করে কার্ডিয়াক বহির্বিভাগ খোলা থাকার কথা থাকলেও চিকিৎসক এদিন আসেননি। ফলে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে হয়েছে।
এদিন মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগের বাইরে চিকিৎসকেরা আন্দোলনে বসেছিলেন। তবে এদিনের প্রতিবাদের ধরন ছিল একটু ভিন্ন। গানের মাধ্যমে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে, বুধবার শিলিগুড়ির সমস্ত পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকাকরণ বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও বেশিরভাগ পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই এদিন টিকাকরণ হয়েছে বলে দাবি মেয়র গৌতম দেবের (Mayor Goutam Deb)। পাশাপাশি শহরে চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদনও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন করা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। এই ধরনের পাশবিক কাজে অভিযুক্তের ফাঁসি চেয়েছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথাও চিন্তা করতে হবে। সকল চিকিৎসকদের পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আবেদন জানাচ্ছি।’