দিন রাত এক করে এক বছর ধরে কাজ, চন্দ্রযান-৩ এর পেছনে রয়েছে এদের হাড়ভাঙা পরিশ্রম

উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত চার বছর ধরে নাওয়া-খাওয়া প্রায় ভুলে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন(ইসরো)-র বিজ্ঞানিরা। প্রায় এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার এবং গবেষকরা দিন-রাত কাজ করেছেন চন্দ্রযান-৩ মিশন সফল হওয়ার জন্য। ভারত যাতে চাঁদ ছুঁতে পারে তার পেছনে একাধিক মানুষের মেধা ও অক্লান্ত পরিশ্রম রয়েছে।

তবে যে সকল বিশেষজ্ঞরা এই চন্দ্র মিশনের অধিনায়ক তাঁরা হলেন- ইসরো প্রধান এস সোমনাথ। তিনি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। চন্দ্রযান-৩-কে বহন করে মহাকাশে নিয়ে গিয়েছে এলভিএম রকেট। এই রকেটটি ডিজাইন করেছেন ইসরো প্রধান। তাঁর নেতৃত্বেই এই মিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণের আগে তা যাতে একেবারে ঠিকঠাক থাকে সেই যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখার দায়িত্ব ছিল এস সোমনাথের উপর।

বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর উন্নিকৃষ্ণন নাইয়ার। তিনি রকেট সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে অন্যতম স্তম্ভ। তিনি একজন দক্ষ অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রাক্তনী তিনি। চন্দ্রযান ৩-এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ভিরামুথুভেল পি। গত চার বছর ধরে এই প্রকল্পকে নিজের সবটুকু দিয়েছেন ভিরামুথুভেল পি। চেন্নাই থেকে তিনি টেকনলজিতে মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২০১৯ সালে ল্যান্ডার বিক্রমকে তিনি অনেকটা কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে তাঁর সেই জ্ঞান চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের জন্য অনেকটাই কার্যকর হতে চলেছে।

চন্দ্রযান ৩-এর ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর কল্পনা কে। চন্দ্রযান ৩ মিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কল্পনা। ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডেপুটি ডিরেক্টর এম ভনিথা। তিনি চন্দ্রযান-২ মিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি দেশের প্রথম মহিলা গবেষক যিনি চন্দ্র মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর চন্দ্রযান-২ মিশন নিয়ে জ্ঞান চন্দ্রযান-৩ মিশনকেও অনেকাংশে সাহায্য করেছে। ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শংকরণ। অফুরান অভিজ্ঞতার কারণে তাকে ইসরোর পাওয়ার হাউস’ বলা হয়। প্রায় তিন দশক ধরে তিনি স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ করছেন।