শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই নিজস্ব ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। জলের গুণমান পরীক্ষার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে আর দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদে নমুনা পাঠানো এবং কলকাতা থেকে রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় থাকতে হবে না। শিলিগুড়িতেই পানীয় জলের গুণমান পরীক্ষা করা যাবে।
দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে পানীয় জলের সংকট মেটাতে পুরনিগমের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে। মানুষের দরজায় জল পৌঁছে দিতে দার্জিলিং পাহাড় এবং জলপাইগুড়ি থেকেও বাড়তি জলের ট্যাংকার নিয়ে আসা হচ্ছে। নবান্নও বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই নবান্নের নির্দেশেই কলকাতা থেকে একটি মোবাইল ট্রিটমেন্ট ইউনিট বা এমটিইউ গাড়ি পাঠানো হয়েছে। মালদা ও কোচবিহার থেকে আরও দুটি গাড়ি পাঠানো হবে। এদিকে, সেচ দপ্তরের আশ্বাস, রবিবার থেকে শহরে পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় বলছেন, ‘শিলিগুড়ি পুরনিগমের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে কাজ শুরু করে দিয়েছে আমাদের দপ্তর। পুরনিগম যতদিন চাইবে, আমরা ততদিন এই পরিষেবা দেব।’
এমটিইউ গাড়ি কী? দপ্তরের এক কর্তা বলছেন, এই গাড়িতে থাকা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় জলাশয়ের জল পরিস্রুত করে পানের যোগ্য করে তোলা যায়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর জানিয়েছে, মানুষের জলকষ্ট মেটাতে পুরনিগমের ২১টি এবং দপ্তরের পাঁচটি সহ মোট ২৬টি ট্যাংকারে দু’বেলা বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল দেওয়া হচ্ছে। আরও ট্যাংকার দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমটিইউ গাড়ি ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে এবং প্রতিদিন পানীয় জলের এক লক্ষ পাউচ তৈরি করছে। বর্তমানে যে জল শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে তাতে ক্লোরিনের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বক্ষণ সেই জলের গুণমান পরীক্ষা করা হচ্ছে।