হরিশ্চন্দ্রপুর: শিশুরা যত বেশি দেখবে, শুনবে, শিখবেও তত বেশি। তাই স্কুলের (Govt Schools) দেওয়ালকে শিক্ষণ উপকরণ হিসাবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এমনটাই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
আসন্ন সপ্তাহে দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালিত হবে। তার প্রস্তুতিও শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশন। রাজ্যের সঙ্গে জেলার সমস্ত সরকারি ও সরকার পোষিত প্রাথমিক, উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সাজানোর নির্দেশিকা ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে। বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থও।
নানা রংয়ের তুলির আঁচড়ে মনীষীদের (Bengali Legends) ছবি, জাতীয় সংগীত, রাজ্যের ম্যাপ সহ বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয় ফুটে উঠবে স্কুলের দেওয়ালে। প্রতিদিন সেসব দেখে নিজের অজান্তেই জ্ঞান অর্জন করবে পড়ুয়ারা। স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ঠিক এভাবেই সাজতে চলেছে রাজ্যের বহু স্কুল। স্কুল ভবনকে শিক্ষার উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করার এই উদ্যোগের পোশাকি নাম ‘বিল্ডিং অ্যাজ লার্নিং এইড’ (বালা)।
রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে বুধবার জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে স্কুল ভবনকে এভাবে সাজিয়ে তুলতে হবে। একশো বা তার বেশি পড়ুয়া থাকা প্রাথমিক স্কুল সহ সমস্ত উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে। এর জন্য কোন কোন খাতে অর্থ খরচ করা হবে, তাও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ভবন সাজানোর জন্য প্রাথমিক স্কুলগুলি তিন হাজার, উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলি পাঁচ হাজার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলি সাত হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে। ১৩ এবং ১৪ অগাস্ট স্কুল সাজানোর জন্য ধার্য করা হয়েছে। পড়ুয়া ও শিক্ষকরা যৌথভাবে এই কাজ করবেন।
ভাজন্না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজেশকুমার সাহা জানান, ‘এটা খুব ভালো উদ্যোগ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা স্কুলের দেওয়াল থেকে শুরু করে সিঁড়ি, করিডর, দরজা, জানলা প্রভৃতি থেকেও জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।’ তুলসীহাটা সার্কেলের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মাসুদ করিম আনসারি জানান, ‘এই নির্দেশিকা আমরা পেয়েছি। এলাকার সমস্ত স্কুলকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।’