কিশনগঞ্জ: কিভাবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নিমেষে টাকা গায়েব করে দেওয়া সম্ভব? সেই ফন্দি-ফিকির শেখাতেই বিহারের পূর্ণিয়ায় রমরমিয়ে চলছিল সাইবার অপরাধের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আর সেখানেই হানা দিয়ে তিনজন সাইবার ক্রিমিনালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতরা তিনজনই ঝাড়খন্ডের জামতারা থেকে সাইবার অপরাধের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে এখানে এই প্রশিক্ষণকেন্দ্র খুলেছিল বলে অভিযোগ।
বিহারের পূর্নিয়া জেলার অমৌর এলাকার বিশুনপুর চকের ঘটনা। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফেতে বাইসির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আদিত্য কুমারের নেতৃত্বে অমৌর থানার পুলিশ হানা দেয়। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়ে রৌশন জমির, মহম্মদ ইফতেকার আলম, রশিদ আলম নামে তিনজন। এদের হেপাজত থেকে একটি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল, রবারের নির্মিত ২০৫টি ফিঙ্গার প্রিন্ট, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, কম্পিউটারের একটি মাউস ও কি বোর্ড সমেত বেশকিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা ভিন রাজ্যের জমির দলিল ডাউন লোড করে দলিলের মালিকের আধার কার্ড নম্বর ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নকল করে। এরপর তাঁর আধার এন্যাবেল্ড পেমেন্ট সিস্টেম বা AEPS-এর মাধ্যমে ওনার ব্যাংকের পাশবুক থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলে নেওয়া হত। ধৃতরা পুলিশের কাছে তাঁদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলেও জানা গেছে। একই সঙ্গে তাঁরা এই এলাকায় সাইবার অপরাধ শেখানোর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালাত। পুলিশ সুপার আমির জাভেদ জানান, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।