আলিপুরদুয়ার: ফোন করলেই দুয়ারে পুলিশ। না, কোনও অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে নয়, আপনার সঙ্গে খেলাধুলো করতে। আলিপুরদুয়ার পুলিশ জনসংযোগে এমনই উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশ সুপার ও ক্রীড়াপ্রেমী কয়েকজন পুলিশকর্তার একটা দল জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে খেলাধুলোয় অংশ নেবেন। তাঁরা যেতে না পারলে স্থানীয় থানা থেকে পুলিশ যাবে। সামাজিক মাধ্যমে খেলাধুলো করার বার্তা দিয়েছেন পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী। সেই পোস্ট দেখে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন অনেকে। শেষপর্যন্ত তাদের তালিকা তৈরি করে দিনক্ষণ ঠিক করে দৌড়াবেন পুলিশ সুপার সহ অন্য পুলিশকর্মীরা। পুলিশ সুপার বলেন, ‘যুবসমাজকে মাঠমুখী করা প্রয়োজন। এই উদ্যোগের ফলে পুলিশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হবে। আবার নেশামুক্ত সমাজ গড়ার বার্তাও দেওয়া যাবে।’
পুলিশের এই উদ্যোগ নতুন নয়। গতবছর কুড়িটির বেশি জায়গায় খেলাধুলোর আয়োজন করেছিল পুলিশ। এবার অবশ্য সেই তালিকার বাইরে গিয়ে নতুন জায়গাতে দৌড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পুলিশকর্মীরা। গত বছর পুলিশ সুপারের দলে এসডিপিও শ্রীনিবাস এমপি, ডিএসপি পদাধিকারী পুলিশকর্মী ছাড়াও মোটর ট্রান্সপোর্ট অফিসার (এমটিও) সমরেশ রাউত সহ অন্য পুলিশকর্মীরা ছিলেন। সময় পেলে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছুটে যেতেন তাঁরা। এসডিপিও গতবছর প্রায় চার–পাঁচ জায়গাতে দৌড়েছিলেন। এমটিও প্রায় পনেরোটি জায়গায় অংশ নেন। এক্ষেত্রে খেলাধুলোর সকলের সঙ্গে পরিচয় করতেন পুলিশ আধিকারিকরা। কে কী করছেন তার খোঁজ নেওয়া হত? কীভাবে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে তার পরামর্শও দিতেন পুলিশকর্তারা। এসডিপিও বলেন, ‘পুলিশ সুপারের সঙ্গে গত বছর কয়েক জায়গাতে গিয়েছিলাম। দিনক্ষণ ঠিক হলে এবারও যাব।’
এমটিও’র কথায়, বিভিন্ন জায়গাতে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দৌড়েছি। এতে যুবসমাজের মধ্যে সদর্থক পদক্ষেপ দেখা গিয়েছে।’ ফেসবুকে পুলিশের ওই পোস্টে ঘিরে ভালো সাড়া মিলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে রায়মাটাং চা বাগান এলাকায় মহিলা ফুটবল টিম ও বীরপাড়া কেএফসি লাইনের যুবরা সামাজিক মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তারপরেই সে সব জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার।
এই বিষয়ে অ্যাথলিট প্রশিক্ষক পরাগ ভৌমিক বলেন, ‘পুলিশ সুপারের সঙ্গে মাঠে দৌড়ানোর বিষয়টি যুবসমাজকে আকৃষ্ট করবে। মাঠে থাকাকালীন সময়ে তাঁরা মোবাইল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে। এমনকি মাদকের মতো নেশা করবে না। প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হলে তারা স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেবে। সবদিক দিয়ে বিচার করলে সমাজে সদর্থক বার্তা যাবে।’