গাজোল: আদিবাসীদের সমর্থন নিয়ে জেতা সিপিআইএম সদস্য যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। সেই দলবদলের রেশ ধরেই বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এবারের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহাজোট করে লড়াই চালিয়েছিল বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং জেডিপি। ভোটে ১২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে আসে ৫টি আসন, এছাড়াও সিপিএমের ৩টি, কংগ্রেসের ২টি, বিজেপি ১টি, ও নির্দল ১টি করে আসন পায়। ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলেও, মহাজোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করার কথা ছিল মহাজোটের। কিন্তু মাঝখানে আদিবাসীদের সমর্থনে সিপিআইএমের প্রতীকে নির্বাচিত সিপিএম সদস্য দীপালি বেসরা তৃণমূলে যোগদান করায় গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল এবং মহাজোটের আসন সংখ্যা ৬-৬ হয়ে যায়।
সিপিআইএমের প্রতীকে নির্বাচিত ওই সদস্যকে অপহরণের অভিযোগে গাজোল থানায় ডেপুটেশন দেয় ঝাড়খন্ড দিশম পার্টির কর্মী-সমর্থকরা। তারপর থেকেই বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। এদিন একেবারে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর। আক্রান্ত হন গাজোল থানার আইসি সহ পুলিশ এবং সিভিক কর্মীরা। প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করে পুলিশ। এদিকে আইসি সহ অন্যান্য পুলিশকর্মী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের অফিস ঘরে আটকে তালা মেরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শা অমিত কুমার এবং ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) মহম্মদ আজহারউদ্দিন খান জেলা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে উপস্থিত হন বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর প্রাঙ্গনে। এরপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যদিও বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ অবিলম্বে বোর্ড গঠনের দাবিতে ফের উত্তেজনা ছড়ায়। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি ব্লক প্রশাসন। আর এতেই ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে মহাজোটের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। খবর লেখা পর্যন্ত পঞ্চায়েত দপ্তর ঘিরে রেখেছে মহাজোটের কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের দাবি, আজই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করতে হবে।