রূপক সরকার, বালুরঘাট: আরজি কর কাণ্ডের পর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রতিটি হাসপাতালে(Hospital) এবার পুলিশ ক্যাম্প বসতে চলেছে। জেলার কয়েকটি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও, ব্লকের গ্রামীণ হাসপাতাল গুলিতে পুলিশ ক্যাম্প নেই। এবার সেখানেও পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা সদর বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। পুরোনো ভবনের সামনেই পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও দশতলা বিল্ডিংয়ে পুলিশ ক্যাম্প নেই। সেখানেও হাসপাতালের তরফ থেকে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘প্রতিটি ব্লক ও জেলাস্তরের হাসপাতালে পুলিশ থাকেই। এখন আরও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি সিসিটিভি ও আলোর ব্যবস্থার কথাও বলা হয়েছে।’
দক্ষিণ দিনাজপুর(South Dinajpur) জেলার বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর মহকুমায় দুটি বড় হাসপাতাল হয়েছে। বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতাল এবং গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল। এছাড়াও আটটি ব্লকে একটি করে গ্রামীণ বা ব্লকস্তরের হাসপাতাল রয়েছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল ও গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল এবং দুটি গ্রামীণ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। বাকিগুলিতে নেই। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের আবহে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে নার্সদের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও হুমকির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছিলেন। এরপর নড়েচড়ে বসে পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
ইতিমধ্যেই জেলার যেসব হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প নেই, সেখানে ক্যাম্প চালু করা হচ্ছে। খুব দ্রুত জেলার কুমারগঞ্জ, তপন, রশিদপুর, খাসপুর হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হবে। এই হাসপাতালগুলোতে মূলত সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকে। এবিষয়ে বালুরঘাটের বাসিন্দা অপূর্ব মণ্ডল বলেন, হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প থাকা দরকার। কারণ, বর্তমানে হাসপাতালে যেসব ঘটনা হচ্ছে সেই জায়গা থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিরাপদ নয়।
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দুবিকাশ বাগ বলেন, ‘আমাদের দুটো হাসপাতালের মধ্যে অনেকটাই দূরত্ব রয়েছে। পুরোনো হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প নেই। তাই সেখানে পুলিশ ক্যাম্পের জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি। পুলিশ ক্যাম্প হলে সকলের সুবিধা হবে।’
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস-এর বক্তব্য, ‘জেলার বেশ কিছু হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। আবার কিছু হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প নেই। সেগুলিতেও এখন পুলিশ ক্যাম্প চালু করা হবে। এনিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্প থাকলে স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক সকলেরই সুবিধা হবে।’