উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভাতা আটকাতে কারা কোর্টে গেল, তাদের দেখুন, চিহ্নিত করুন। বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখ’, চাকরিহারাদের ভাতার ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হতেই ঠিক এ ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh)।
সুপ্রিম রায়ে চাকরিহারা গ্রুপ সি (Group C) ও গ্রুপ ডি (Group D) প্রার্থীদের ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি অমৃতা সিনহা সাফ জানিয়েছেন, ‘আপাতত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। রাজ্যকে এই চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে। ততদিন শিক্ষাকর্মীরা কোনও ভাতা পাবেন না।’ স্থগিতাদেশ জারি হতেই কার্যত গর্জে উঠলেন কুণাল। সাংবাদিক বৈঠক করে কুণাল বললেন, ‘সদ্য চাকরিহারাদের সংসার যাতে চলে, সেই কথা ভেবে অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা আটকাতেও কারা কোর্টে গেল, তাদের দেখুন, চিহ্নিত করুন। কোর্ট নিয়ে তো কিছু বলা যাবে না। আমরা কোর্টকে শ্রদ্ধা করি, বিচারপতিদের সম্মান করি। কিন্তু দেখুন কারা কোর্টে যায়, আর কী অর্ডার নিয়ে বেরোয়। কিন্তু আমরা বলব, বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে নিও। পথে কে পাশে থাকে, কারা চাকরি খাব, অন্তর্বর্তীকালীন ভাতা পেতে দেবে না, পাশে থাকব না, লোকের চোখের জল নিয়ে রাজনীতি করে, তাঁদের চিনে রাখুন।’
এখানেই না থেমে কুণাল আরও বলেন, ‘একদল বলেছিলেন সকলের চাকরি খেতে হবে। আর একদল পৈশাচিক আনন্দ পেয়েছিলেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়েছেন যাঁদের জীবনের উপর যন্ত্রণা নেমে এসেছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টকে সম্মান দিয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি হচ্ছে এবং তার পাশাপাশি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি যাঁরা আচমকা চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে পথে বসেছিলেন, তাঁদের আর্থিক সুরক্ষা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন একটা ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা নিয়েও আপত্তি করা হল এবং আজ তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।’