মালদা ও চাঁচল: তৃতীয় দফায় মঙ্গলবার মালদার দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। নির্বাচনি অশান্তি এড়াতে তৎপর কমিশন। প্রতিটি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কুইক রেসপন্স টিম।
কিন্তু তারপরেও মালদা দক্ষিণ ও উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় কতটা অবাধ এবং সুস্থ নির্বাচন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এই এলাকাগুলিতে যেমন রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, তেমনই রয়েছে ঝাড়খণ্ড-বিহারের মতো আন্তঃরাজ্য সীমান্ত। অতীতের নির্বাচনগুলির ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, প্রতি নির্বাচনেই যেমন হয়েছে রক্তপাত, তেমনই বোমাবাজি, অশান্তির ঘটনাও ঘটেছে। এখন দেখার এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মালদার সেই ইতিহাস বদলে দিতে পারে কীনা?
উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতিপুর, রতুয়ার বহু এলাকা রাজনৈতিকভাবে অতি স্পর্শকাতর। বিগত নির্বাচনগুলিতে এই এলাকাগুলি বারবার রাজনৈতিক হিংসার সাক্ষী থেকেছে। এক বছর আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে জালালপুর, চন্দ্রপাড়া, বাহারাল, ভাদোর মতো এলাকাগুলিতে মুড়ি-মুড়কির মত বোমাবাজি হয়েছিল। ধরেছিল রক্ত। এমনকি বাহারালে অভিযোগ উঠেছিল ব্যালট বাক্স বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছাপ্পা করার। একাধিক জায়গায় ব্যালট ফেলে দেওয়া হয়েছিল পুকুরে। কোথাও আবার সোজা রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ব্যালট বাক্স নিয়ে ছুট দিয়েছিল থানায়। সাধারণ ভোটারদের আশঙ্কা কেন্দ্রীয় বাহিনী তো থাকবে বুথে, কিন্তু বুথের বাইরে পাড়ায় পাড়ায় সন্ত্রাস রুখবে কে? সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় টহল না দিলে ভোট শান্তিপূর্ণ হবে না। যদিও কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, কুইক রেসপন্স টিম থাকছে। যারা বুথের বাইরে এলাকার পরিস্থিতি তে নজর রাখবে। জালালপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে তো আমরা ভোট দিতে আসার আগেই ভোট শেষ হয়ে গিয়েছিল। এই ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয় বুথ রক্ষা করবে। কিন্তু গ্রামের সন্ত্রাস সামলাবে কে?’
বাহারালের বাসিন্দা অশোক সাহার দাবি, ‘বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভোটারদের হুমকি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সমগ্র এলাকা টহল দিতে হবে।’ উত্তর মালদা কেন্দ্রের বিজেপির নেতা অজয় গাঙ্গুলী বলেন, ‘আমাদের মূল লড়াই প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে। আমাদের খবর আছে অশান্তি করলে পুলিশই করবে। আমরা মোকাবিলায় প্রস্তুত। রাজ্য প্রশাসন অশান্তি করলে আমরা কেন্দ্রীয় প্রশাসন দিয়ে মোকাবিলা করব। আর রাজনৈতিক অশান্তি মোকাবিলা করব রাজনৈতিকভাবে।’ সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, ‘কিছুদিন আগে এলাকার এক তৃণমূল নেতা একটি গ্রামে সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছিল। মানুষ লাঠি হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কাল কিছু করার চেষ্টা হলে পার পাবে না কেউই।’
গত লোকসভা ভোটেও সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে। স্বয়ং কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করেও বোমাবাজি হয়েছিল বামনগ্রামে। কালিয়াচকের মোজমপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বুথ জাম হয়েছিল। সেখানেই ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকেন ডালুবাবু। বিজেপির একটি মহলের দাবি গতবার কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে বিজেপি প্রার্থীকে হারতে হয়েছিল ভোট লুঠের জন্য। এপ্রসঙ্গে দক্ষিণ মালদার বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী অনেক বেশী তৎপর। তবুও ইংরেজবাজার শহরের ৮, ৯, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে অশান্তির আশঙ্কা করছি। আমরা সমস্ত ঘটনার দিকে নজর রেখেছি। যেকোনও মূল্যে ভোট লুঠ রুখবে আমাদের কর্মীরা।’
রাহুল মজুমদার, শিলিগুড়ি: বৃষ্টি নিয়ে দোলাচলে শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরনিগমের দুই দপ্তর। জল সংকটের মাঝে বৃষ্টিতে…
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সিঙ্গাপুরে (Singapore) নতুন করে থাবা বসাল করোনা ভাইরাস (COVID-19)। করোনার নতুন…
ময়নাগুড়ি: দেখতে দেখতে তিন মাসের বেশি সময় হয়ে গেল। রামশাই (Ramsai) মেদলা ক্যাম্পের জঙ্গলে সেভাবে…
কার্তিক দাস, খড়িবাড়ি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেছিলেন অধিকারীর বারাসতভিটার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র…
সানি সরকার, গজলডোবা: প্রাক বর্ষায় চারদিক সবুজময়। কিন্তু মাটির নীচের ‘চেনা সোনা’ উধাও। গত কয়েকমাসের…
This website uses cookies.