ডালখোলা: স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা। লোডশেডিংয়ের সময় মোমবাতি ও টর্চ লাইট জ্বালিয়েই গর্ভবতীর প্রসব করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকরা। এমনই অব্যবস্থার মধ্যে রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছে ডালখোলা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছে উন্নতমানের ডিজেল জেনারেটর, কিন্তু সঠিক রক্ষনাবেক্ষণের অভাব ও দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় সেটিও বিকল হয়ে পড়েছে। পরিকাঠামো থাকতেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এহেন দুর্দশা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
ডালখোলা পুর এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা বলতে একমাত্র ভরসা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। শুধু ডালখোলা নয় আশেপাশের পঞ্চায়েত এমনকি প্রতিবেশি বিহার রাজ্য থেকেও প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন এখানে। পাশাপাশি জেলার একটি মাত্র পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্রটি রয়েছে ডালখোলা প্রথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। যেখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মা ও অপুষ্টি জনিত রুগ্ন শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। যদিও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুর্দশার কথা মাথায় রেখে পুর কর্তৃপক্ষ বছর খানেক আগে একটি ইনভার্টার দিয়েছিল। কিন্তু সেটিও বিকল হওয়ার কারণে এই তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত রোগীদের। এছাড়া বিভিন্ন ওষুধ রাখতে হয় ফ্রিজারে, কিন্তু কোনও কারণে লোডশেডিং যদি বেশি সময় পর্যন্ত চলে তবে সেই সব ওষুধ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসক ডাঃ অমল কান্তি বিশ্বাসের। তার বক্তব্য, এখানে চাকরি করতে এসে দেখেছিলাম একটি উন্নতমানের ডিজেল জেনারেটর লাগানো রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা চলতে দেখিনি। এছাড়া পুরসভার থেকে একটি ইনভার্টার দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিও বিকল হওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে টর্চ বা মোমবাতির আলোয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। তবে এই সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছে।
করণদিঘি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ আভাস রাজ বলেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা ডিজেল জেনারেটরের কোনও নথি আমাদের কাছে নেই তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এই সমস্যা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।‘