সামসী: ‘চাকরির নাম করে টাকা তোলা মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে হঠাও’, মালতীপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসির বিরুদ্ধে এমনই কুরুচিকর মন্তব্য লেখা পোস্টার পড়ল তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। শনিবার রাতে কেউ বা কারা এই পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে যায়। রবিবার সকালে ঘটনাটি চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। মালতীপুরের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারনে তৃণমূল কার্যালয়, সামসী কলেজের মহিলা হোস্টেল ও একাধিক জায়গায় আব্দুর রহিম বকসির অপসারণ চেয়ে পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে আব্দুর রহিম বকসিকে দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এমনকি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে দলের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় থেকে ওই পোস্টারগুলি সরিয়ে নেন।
লোকসভা ভোটে হারের পর উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পরাজয়ে কর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হারের কারণ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তাদেরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু করেছেন জেলা সভাপতির অনুগামীরা। লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পরেই দেখা যায় রতুয়া বিধানসভায় কংগ্রেসের চেয়ে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে থেকে পিছিয়ে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রোহ শুরু করে নীচু তলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে আক্রমণ করা হয় তৃণমূল সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসি ও রতুয়ার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখার্জিকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষেমপুর অঞ্চল সভাপতি প্রকাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, এটা নোংরামি ছাড়া কিছুই নয়। দলের একাংশের কেউ এটা করে থাকতে পারেন। আমাদের জেলা সভাপতির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এটা করেছে ওরা। বিষয়টি দলের হাই কমান্ড পুলিশকে জানানো হয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ‘এটা ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফসল। এটা তৃণমূলের কালচার।‘
এবিষয়ে আব্দুর রহিম বকসি বলেন, যাঁ’রা এটা করেছেন তারা একেবারে কাপুরুষ, নীচ, হীন ও বিকৃত মানসিকতার লোক। আমি কেমন তা এলাকার বেশিরভাগ মানুষ জানেন। নতুন করে কাউকে আমার পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই। মানুষ আমাকে মানুষ কতটা ভালোবাসেন বলে একাধিকবার বিধায়ক করেছেন। অতীতেও কয়েকবার এসব করে আমার ভাবমূর্তিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু পারেননি। আমি মানুষের পাশে আছি, থাকবো। জনগণ সঠিক সময়ে এর বিচার করবে।