বালুরঘাট: পোষ্য ছাগলের মধ্যে মারণ রোগ দেখা দিচ্ছে বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া এলাকায়। ছাগলের মড়কে ক্ষতিগ্রস্ত পশুপালকরা। এলাকাজুড়ে একাধিক ছাগলের মধ্যে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। মূলত গুটি বসন্ত জাতীয় রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। মানুষের মধ্যেও সেই সংক্রমণ ছড়াবে কিনা তা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।
পশুপালকরা জানিয়েছেন, রোগের লক্ষণ হিসেবে ছাগলের চামড়ায় গুটি গুটি দেখা যাচ্ছে। পরবর্তীতে যেখান থেকে ঘা সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি ছাগলের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। আক্রান্ত ছাগল থেকে অন্য ছাগলে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। কামারপাড়া এলাকায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০টি আক্রান্ত ছাগলের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি। ছাগলের মৃত্যুর ঘটনায় যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামের গরিব মানুষ। অপরদিকে, ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে খাসির মাংস বিক্রেতাদের। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ছাগলের মড়কের ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামের হাটগুলোতে খাসির মাংস বিক্রি কমেছে। এই ঘটনায় বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
গ্রামবাসী মেমিম মার্ডি বলেন, ‘আমার ছয়টি ছাগল এভাবে মারা গিয়েছে। অনেক ক্ষতি হল। ছোট বাচ্চা থেকে বড় ছাগলগুলোর মধ্যে দ্রুত রোগ ছড়াচ্ছে। মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে আছি। সরকারি ডাক্তার চিকিৎসার জন্য আসছেন না। টাকা খরচ করে ডাক্তার দেখাতে হচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা করেও তাদের বাঁচানো যাচ্ছে না।’
বালুরঘাট ব্লক পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক আদিত্য কুমার পাল জানান, ‘ছাগলে সংক্রামিত এই রোগ পক্সের চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় হয়। আতঙ্কের কারণ নেই।’ প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অভিজিৎ মণ্ডল জানান, ছাগলের বসন্ত রোগের বিষয়টি জানতে পেরেছি। গ্রামবাসীদের ছাগলের চিকিৎসা করাতে বলব। আক্রান্ত ছাগল থেকে অন্য ছাগলে সংক্রমণ ছড়ালেও মানুষের সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’