পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র অথচ সেখানে যেতে হিমসিম খেতে হয় রোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের। কারণ, বেহাল রাস্তা। বালুরঘাট সহ জেলার একাধিক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাওয়ার রাস্তার একই হাল। পাকা রাস্তা থেকে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তাই বেহাল। বছরের অন্য সময় তবু কাজ চলে। বর্ষাকালে নাভিশ্বাস ওঠে। মূল সমস্যা হয় গর্ভবতীদের। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবেই পরিচিত। জেলায় এখনও মেডিকেল কলেজ গড়ে ওঠেনি। গ্রামের মানুষ গ্রামীণ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরেই ভরসা করেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে হাসপাতাল অনেক দূরে। ফলে গ্রাম থেকে দূরের হাসপাতালে আসতে চান না রোগীরা। জেলায় ২৭৩টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে পৌঁছতেই সমস্যা হয়। সম্প্রতি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নজরে আনেন। এরপরেই তিনি এই সমস্যাগুলো মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন। জেলাজুড়ে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলির অধিকাংশই প্রত্যন্ত গ্রামে। সেখানকার কেন্দ্রগুলির ভবন স্থানীয়দের দেওয়া জমির উপরেই তৈরি হয়। যার অধিকাংশের যাতায়াতের সঠিক রাস্তা নেই।
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণ দিনাজপুরজুড়ে এরকম এইচডব্লিউসির সংখ্যা ৩০৭টি। স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় দশ শতাংশ কেন্দ্রে রাস্তা নেই। অবশ্য জেলা পরিষদের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যে এই সমস্ত রাস্তা তৈরি করা হবে। জেলা সিএমওএইচ ডাঃ সুদীপ দাসের কথায়, ‘স্বাস্থ্য দপ্তরের স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রায় ৮৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতায়াতের রাস্তা বেহাল রয়েছে। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে কাজ হবে।’
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহসভাপতি অম্বরিশ সরকারের আশ্বাস, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যাতায়াতের জন্য সিসি রোড তৈরির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে।’