উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গরমকালে প্রায়শই ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে, যা কখনো-কখনো বিপজ্জনক হতে পারে। এই সময় শরীরকে হাইড্রেট রাখা সবচেয়ে জরুরি। লিখেছেন পুষ্টিবিদ দীপিকা ব্যানার্জি
সুস্থ থাকতে যা করবেন –
- সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খান, বিশেষ করে জল। তবে জল ছাড়াও বাড়িতে তৈরি বিভিন্ন রকমের মরশুমি ফলের রস যেমন, তরমুজ, লস্যি, ছাতুর শরবত, ডাবের জল, চিনি ও লবণের শরবত ইত্যাদি খেতে হবে, যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখবে। এগুলো বাচ্চারাও খাবে। তবে ডায়াবিটিকদের অবশ্যই ফলের রস ও শরবত এড়িয়ে চলতে হবে।
- বিভিন্ন পানীয়ের পাশাপাশি বেলের শরবতের তুলনা হয় না। বেলের মধ্যে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, রাইবোফ্লাভিন, ভিটামিন-সি, থায়ামিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ফাইবার। এই শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি বদহজম থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সঙ্গে আমাশয়ও নিয়ন্ত্রণ করে। এই শরবত খেলে কোষ্ঠকাষ্ঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা কমে এবং সহজে হজম হয়। শরীরকে ডিটক্স করার ক্ষেত্রে বেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- এছাড়া প্রচণ্ড গরমে নিজেকে হাইড্রেট রাখতে অবশ্যই শসা খাওয়া ভালো। এতে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, পটাশিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে, যা শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রেখে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এতে ফাইবার থাকায় ডায়াবিটিকদের জন্যও উপকারী।
- ডায়েটে রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাকসবজি, যাতে থাকবে ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সব উপাদান হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
খাদ্যতালিকা থেকে যা বাদ দিতে হবে
১. অতিরিক্ত ক্যাফিন জাতীয় পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
২. বাদ দিতে হবে অ্যালকোহল, যা শরীরকে ডিহাইড্রেট করে।
৩. অতিরিক্ত মশলা ও তেল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যাতে শরীরে বদহজম হতে পারে।