কালিয়াগঞ্জ: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের স্ত্রী-র চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়ে শুভেন্দু মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মনকে এই আশ্বাস দেন। শুভেন্দু আশ্বস্ত করেন আগামী সোমবারই তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও দপ্তরের গ্রুপ-ডি পদে গৌরী বর্মনকে নিয়োগ করার ব্যবস্থা করবেন।
এদিন কালিয়াগঞ্জের চাঁদগাওয়ের বাড়িতে মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শুভেন্দু জানান, এই মুহুর্তে তৃণমূল পুলিশকে তাদের ক্যাডার ভাবছে এবং পুলিশও ভাবছে তাঁরা তৃণমূলের ক্যাডার। এই ভাবনাটা উচিত নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সত্যিকারের সুশাসক হতেন, মানবিক হতেন তাহলে, তরুণ তরতাজা যুবক মৃত্যুঞ্জয়ের খুনি পুলিশ আধিকারিক মোয়াজ্জেমের শাস্তি হত। তার শাস্তি এখনও তিনি দেননি।
এদিকে গত বুধবার মৃত্যুঞ্জয়ের মা ও স্ত্রী সহ সন্তান নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে। মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মনের কথায়, ‘আমাদের সঙ্গে সকলে রয়েছে। এখন ভয় মুক্ত আছি।’ এদিন বিভিন্ন সাধু, সন্ত ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গী ছিলেন জেলা বিজেপির সভাপতি বাসুদেব সরকার ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার একাধিক বিজেপি কাউন্সিলর। পুরসভার এক নির্দল কাউন্সিলর নন্দদুলাল দাসও শুভেন্দুর সঙ্গী ছিলেন। জেলা তৃণমূলের সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য বলেন, ‘বিজেপি এইভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করে।’ মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়ার প্রসঙ্গে কানাইয়ার উক্তি, ‘ফলেন পরিচয়তে।’
এদিন কুনোর ভারত সেবাশ্রমে একটি শববাহী যান পরিষেবা চালুর জন্য ১২ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করে শুভেন্দু বলেন, ‘আর যেন একটিও মৃত নাবালিকাকে টেনে হিঁচড়ে না নিয়ে যেতে হয়। একজন বাবাকে যেন অর্থের অভাবে পাঁচ মাসের সন্তানের দেহ ব্যাগবন্দি করে বয়ে নিয়ে বেড়াতে না হয়।’ ব্যাগে করে যিনি শিশুর দেহ বহন করেছিলেন সেই ডাঙ্গি পাড়ার অসীম দাসের সঙ্গেও দেখা করেন শুভেন্দু। তিনি জানান, একটি বাতানুকূল শববাহী গাড়ি চালুর আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হল। আগামী দিনে যাতে নিখরচায় মানুষ এই শববাহী যানের পরিষেবা পান সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।’
কালিয়াগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে মৃত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। এদিন নাবালিকার পরিবারের প্রতি আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ঘটনার তদন্তে সিটের উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেন তিনি।