ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এবার অবস্থানে বসলেন প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। শিলিগুড়ির হাসমি চকে সিপিএমের ডাকা ৪ ঘণ্টার এই অবস্থান কর্মসূচিতে এদিন অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই রাজ্যে যে প্রতিবাদ আন্দোলন বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। আমরাও বিভিন্ন সময়ে অনেক আন্দোলন করেছি, কিন্তু শুধুমাত্র মেয়েদের সুরক্ষার জন্য রাস্তায় নেমে বিভিন্ন সংস্থা আন্দোলন করছে, তা আগে কোনওদিন দেখিনি।’
এদিকে, এই ইস্যুতে এদিন মুখ খুলেছেন বঙ্গরত্ন প্রাপ্ত টেবিল টেনিস প্রশিক্ষক ভারতী ঘোষও। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, আমরা পরাধীন ভারতেই ভালো ছিলাম। স্বাধীন ভারতে মেয়েদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। ভীষণ কষ্ট হয়। কত কষ্টই না পেয়েছে মেয়েটা। এই ঘটনা তো সামনে এসেছে। কিন্তু অনেক ঘটনার কথা তো আমরা হয়তো জানতেই পারি না। আমি এখন চলে যেতে পারলে বাঁচি। আরও কত কী যে দেখতে হবে কে জানে!’
এদিন এআইটিইউসি অনুমোদিত দার্জিলিং জেলা লোডিং আনলোডিং মজদুর ইউনিয়নের তরফে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল বের করা হয়েছিল। তবে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় ঘণ্টা চারেক হাসমি চকে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেন অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার, সমন পাঠকরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অশোক বলেন, ‘যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমেছেন সেটা আমাদের কাছে শিক্ষণীয়। কোনও সরকারের উপরই তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না। এই আন্দোলনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমরা বামপন্থীরা ওঁদের আন্দোলনের উপর কখনও কর্তৃত্ব করতে যাইনি, যাব না। ওঁদের আন্দোলনে ওঁরাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে আমরা বামপন্থীরা রাস্তায় থাকছি, যাতে দোষীরা শাস্তি পায়।’
এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় হকার্স কর্নার ব্যবসায়ী সমিতির তরফে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। শহরের ফোটোগ্রাফাররা একটি মিছিল বের করেন বাঘা যতীন পার্ক থেকে। মিছিলটি কোর্ট মোড়, হিলকার্ট রোড হয়ে শেষ হয় মহাত্মা গান্ধি চকে। রাতে আবার বাঘা যতীন পার্কের সামনে শিলিগুড়ি যুবসমাজের তরফে রাস্তার একধারে মোমবাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়।