নয়াদিল্লি: প্রত্যাশামাফিক ট্রেভর বেইলিসকে ছাঁটাই করল পাঞ্জাব কিংস ( Punjab Kings eleven)। হেডকোচের দায়িত্বে রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে চার বছরের চুক্তির পর কোচিং স্টাফে বড়সড়ো রদবদলের ইঙ্গিত ছিল। বেইলিসের বাতিল হওয়া কার্যত নিশ্চিত ছিল। যার অন্যথা হল না। ২০২২ থেকে হেডকোচের দায়িত্ব সামলানো বেইলিসকে শেষপর্যন্ত সরিয়েই দিলেন প্রীতি জিন্টারা। বেইলিসের সঙ্গে ছাঁটাই ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সঞ্জয় বাঙ্গারও।
সঞ্জয় বাঙ্গার ২০১৪-২০১৬, তিন বছর হেডকোচও ছিলেন। ভারতীয় দলে সহকারী কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর পাঞ্জাব ছাড়েন। ২০২১ থেকে বছর দুয়েক আরসিবিতে কাটিয়ে পঞ্জাবে ফিরেছিলেন ২০২৩ সালে। বেইলিস অপরদিকে পঞ্জাবের হেডকোচ হিসেবে অনিল কুম্বলের স্থলাভিষিক্ত হন। এদিন সেই সম্পর্কে ইতি টানল ফ্র্যাঞ্চাইজি।
এদিকে, আইপিএলের রিটেনশন, ট্রেড, মেগা নিলাম নিয়েও উত্তাপ বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবও। তেমনই গুজবে বেজায় চটেছেন ঋষভ পন্থ। মাঝে খবর রটে, দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিচ্ছেন। এবার দাবি, বিরাট কোহলিদের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু বিরাট কোহলির নাকি আপত্তি রয়েছে। যা কানে আসার পর বেজায় ক্ষুব্ধ ঋষভ।
সম্প্রতি ঋষভকে নিয়ে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, ‘আরসিবি ঋষভকে পাওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছে। ঋষভের ব্যক্তিগত ম্যানেজারের মাধ্যমে অধিনায়কত্বের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু বিরাট ঋষভকে চান না। দিল্লি ক্যাপিটালস, ভারতীয় দলে ঋষভ রাজনীতি করে। তাই বিরাটের সম্মতি নেই। এমনটাই নাকি জানিয়েছেন আরসিবির এক আধিকারিক।’
ঋষভের দাবি, সর্বৈব মিথ্যা খবর। কোনও ভিত্তি নেই। বলেছেন, ‘মিথ্যা খবর। জানি না, কেন সামাজিক মাধ্যমে এরকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। অর্থহীনভাবে অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করবেন না। এটাই প্রথম নয়। হয়তো শেষও নয়। সবার কাছে অনুরোধ, এরকম খবর রটানোর আগে তথাকথিত সূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেবেন। এরপর আপনারাই ঠিক করুন। শুধু একজনের জন্য নয়, যাঁরা এটা করেছেন তাঁদের সবাইকেই একথা বলছি।’
এদিকে, রিটেনশন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পথে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। সূত্রের দাবি, প্লেয়ার ধরে রাখার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা চার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ করা হবে। ‘রাইট টু ম্যাচ’ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। প্রাথমিকভাবে আসন্ন মেগা নিলামে এই নিয়মের বিরুদ্ধে বিসিসিআই। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের অনুরোধে একটা ‘রাইট টু ম্যাচ’ দেওয়া হতে পারে। অর্থাৎ, ৫ জন রিটেনশন (পুরোনো প্লেয়ার ধরে রাখা) আর একজন নিলাম থেকে ‘রাইট টু ম্যাচ’ হতে পারে। তবে আরেকটি সূত্রের দাবি, ৫+১ কম্বিনেশনের বদলে রিটেনশনের সংখ্যা বাড়িয়ে ছয় করা হতে পারে।