কলকাতা : এটিকে মোহনবাগানের ফেসবুক ওয়ালে পরপর সাজানো ছবিগুলি। নাম ডার্বি ডে মেমোরি।
সেখানে ঠাঁই পেয়েছে ১৯৩৪-র দ্বারভাঙা শিল্ডের সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ৪-১ গোলে জয়। কিংবা ৭৬-এ কলকাতা লিগে মহম্মদ আকবরের করা গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানো। রয়েছে ২০০৯-এর শাপমোচেনের ৫-৩-এ জয়। শেষ ডার্বিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে একপেশে ভঙ্গিমায় ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করা। সঙ্গে লেখা, গোটা ম্যাচে একচেটিয়া দাপট ছিল মেরিনার্সের। ম্যাচের ফল ৩-০ হলেও হতে পারত ৫-০, ৬-০ কিংবা ৭-০।
শনিবার কি তাই হবে? শেষ ম্যাচে ৪ গোল হজম করা এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে সেই পাঁচ, ছয় গোলের স্বপ্নে বিভোর সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। আইএসএলে এখনও পর্যন্ত বড় ম্যাচে অপরাজেয় এটিকে মোহনবাগান। তিনটি ডার্বিতেই এসেছে জয়। আর এই তিন ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর জালে বল জড়িয়েছেন রয় কৃষ্ণা। কিন্তু কেরিয়ারের চতুর্থ ডার্বিতে মাঠে নামা নিয়ে সংশয়ে ফিজির তারকা। ওডিশা ম্যাচে পাওয়া হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট ভোগাচ্ছে কৃষ্ণাকে।
খেতাবি লড়াইয়ে কথা মাথায় রেখে তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে নারাজ হুয়ান ফেরান্দো। সবুজ-মেরুন কোচের সাফ কথা, সম্পূর্ণ ফিট হতে কৃষ্ণার আরও সময় দরকার। গত কয়েক সপ্তাহ কোভিডের কারণে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ওকে এবং ওর পরিবারকে যেতে হয়েছে। ও দলের অপরিহার্য অংশ। আদর্শ টিম লিডার। কৃষ্ণাকে নিশ্চয়ই আমাদের প্রয়োজন আছে। কিন্তু একজন প্লেয়ারকে একটা ম্যাচে নামিয়ে তিন-চার সপ্তাহের জন্য হারানোর ঝুঁকি নিতে পারি না। তাহলে তাতে দলের ক্ষতি হয়ে যাবে।
কৃষ্ণা নামা নিয়ে সংশয় থাকলেও ধারেভারে মশালবাহিনীর চেয়ে এগিয়ে থেকে মাঠে নামছে পালতোলা নৌকা। কার্ডসমস্যা মিটিয়ে ফিরছেন বাগানের মাঝমাঠের প্রাণভ্রোমরা হুগো বৌমৌস। সঙ্গে লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং, ডেভিড উইলিয়ামস, সন্দেশ ঝিঙ্ঘান, তিরি- ফেরান্দোর হাতে অপশন প্রচুর। তাই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাগানের স্প্যানিশ কোচ। প্রথমবার ডার্বির ডাগআউটে দাঁড়ানোর আগে বড় ম্যাচের মাহাত্ম্য তাঁর গলায়।
ফেরান্দো বলছেন, দুবছর আগে কলকাতা ডার্বি দেখেছি। এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থকদের বিপুল উন্মাদনা, আবেগ ভোলার নয়। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যুবভারতীতে সেই দর্শক-উন্মাদনা (মহমেডানের বিরুদ্ধে) কিছুটা চাক্ষুষ করার সুযোগ হয়েছিল। সমর্থকদের জন্যই ডার্বি জিততে চাই। নিজেদের ফেভারিট মানতে না চাইলেও আইএসএলে ডার্বিতে অলউইন তকমা ধরে রাখতে মরিয়া সবুজ-মেরুন।