উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার নারদ মামলার (Narda Scam) শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে (Court)। মুকুল রায়-সহ অন্যান্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর হয়েছে তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন এসএমএইচ মির্জার আইনজীবী শ্যামল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ফিরহাদ হাকিম, এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত কীভাবে হচ্ছে?’
এদিন মির্জার আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল মুকুল রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত। অথচ মুকুল রায় বা বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী তদন্ত হচ্ছে সেটা কেউ জানে না। এতে শুধুই সাফার করছি আমরা।’ এর জবাবে ইডির (ED) আইনজীবী পালটা বলেন, ‘মামলাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে। নারদ মামলায় এসএমএইচ মির্জা গ্রেপ্তার হন, জেল খাটেন ৫৬ দিন।’ এই কথা শুনে মির্জার আইনজীবী ফের বলেন, ‘৫৬ দিন ধরে আমার মক্কেল জেল খাটলেন অথচ মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হলেন না? কেন?’
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের (2016 Assembly Elction) আগে সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের একটি স্টিং অপারেশন রাজ্য রাজনীতিতে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সেই মামলায় রাজ্যের চারজন হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। যদিও পরবর্তীকালে তাঁরা জামিন পান। কিন্তু শুনানির সময় তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল আদালতের পক্ষ থেকে। সেই নির্দেশ মত মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়রা হাজির হন আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুন।